ওসি প্রদীপ-লিয়াকতের বিচার চেয়ে আদালত চত্বরে মানববন্ধন
কক্সবাজারের টেকনাফের বাহারছড়ায় পুলিশের গুলিতে নিহত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার দুই আসামি ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক লিয়াকত আলীর বিচার চেয়ে মানববন্ধন করেছেন নির্যাতিতরা। আজ সোমবার (২৩ আগস্ট) দুপুরের দিকে আদালত চত্বরে ‘অসহায় নির্যাতিত সমাজ ও লাভ বাংলাদেশ’র ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সিনহা হত্যা মামলার সাক্ষ্য চলছিল।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের জেলা সভাপতি নাজনীন সরওয়ার কাবেরী ও আমরা কক্সবাজারবাসী সংগঠনের সমন্বয়ক মহসীন শেখসহ নির্যাতিত অর্ধশতাধিক পরিবারের প্রায় দুই শতাধিক লোকজন। মানববন্ধনে ওসি প্রদীপ ও লিয়াকত বাহিনীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়। এর আগে সকাল ১০টার দিকে মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌসের সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্যদিয়ে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়। এসময় আদালতে হাজির করা হয়েছে ১২ পুলিশ সদস্যসহ ১৫ আসামিকে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিনড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। হত্যাকাণ্ডের পাঁচ দিনের মাথায় ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত ও টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপসহ ৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় র্যাব-১৫।
হত্যাকাণ্ডের পর চার মাসের বেশি সময় তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে এবং ৮৩ জনকে সাক্ষী করে আলোচিত মামলাটির চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রূল ইসলাম। চার্জশিটভুক্ত ১৫ জন আসামী কারাগারে রয়েছে। এরমধ্যে বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাস, কনস্টেবল সাগর দেব ও রুবেল শর্মা ছাড়া ১২ জন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মামলায় বর্তমানে কারাগারে থাকা ১৫ আসামি হলেন- বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলী, টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, দেহরক্ষী রুবেল শর্মা, বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত উপ-পরিদর্শক (এসআই) নন্দদুলাল রক্ষিত, বরখাস্ত কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন ও আব্দুল্লাহ আল মামুন, বরখাস্ত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, বরখাস্ত কনস্টেবল সাগর দেব, বরখাস্ত এপিবিএনের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শাহজাহান, বরখাস্ত কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ, টেকনাফ থানায় পুলিশের দায়ের করা মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত