তালেবান সরকার নিয়ে মুখ খুলল ইরান
কাবুল দখলের তিন সপ্তাহ পর মঙ্গলবার আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঘোষণা করেছে তালেবান। এই সরকার নিয়ে বিভিন্ন দেশ তাদের নিজস্ব অবস্থান জানাচ্ছে। বৃহস্পতিবার ইরান তালেবান সরকার নিয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ইরান বলেছে, আফগানিস্তানে তালেবান সকল মানুষের সমন্বয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠন করুক।
বুধবার আফগানিস্তানের ৬ প্রতিবেশী দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এক ভার্চুয়াল বৈঠকে যুক্ত হন। দেশগুলো হলো- ইরান, চীন, তাজিকিস্তান, তুর্কিমিনিস্তান, উজবেকিস্তান এবং পাকিস্তান।
এই বৈঠকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, ইরান আফগানিস্তানের ঘোষিত সরকারের ওপর দৃষ্টি রাখছে। আমরা চাই তালেবান সকল নৃগোষ্ঠীর মানুষের সমন্বয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠন করুক।
৬ দেশের বৈঠকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অতীত অভিজ্ঞতা বলে আফগানিস্তানে নন-অন্তর্ভুক্তিমূলক কোনো সরকার শান্তি, সমৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতা অর্জন করতে পারনি। এ কারণে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের একযোগে অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠনে কথা বলা উচিত।
ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি প্রশাসন গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আফগানিস্তানে তালেবানের ক্ষমতা গ্রহণ নিয়ে আকস্মিক বৈঠক করে যাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আব্দুলাহিয়ান কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল রাহমান আল থানির সঙ্গে বৈঠকে বসেন।
তালেবান শাসনকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি না দিয়েই তাদের সঙ্গে ছয়টি দেশ ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছে। সেগুলো হলো পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, চীন ও ইরান। আফগানিস্তানে এই রাষ্ট্রগুলোর বৈচিত্র্যপূর্ণ এবং এমনকি পরস্পরবিরোধী স্বার্থ রয়েছে।
রাশিয়া ও ইরান মনে করে, তারা মধ্যপ্রাচ্যে তাদের কৌশলগত লক্ষ্য যেভাবে অর্জন করেছে, একইভাবে মধ্য এশিয়াতেও যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যকে পরাজিত করতে পারবে। সূত্র: আল জাজিরা
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত