নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালে করোনা টিকার লাইন কেনা বেঁচা

| আপডেট :  ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৪:১৯  | প্রকাশিত :  ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৪:১৯

সোহেল আহমেদ ভূঁইয়া, নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের ৩০০শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল যা কিনা খানপুর হাসপাতাল নামেই পরিচিত, যেটায় কিনা করোনার চিকিৎসা দেওয়া হয়। অনেকদিন থেকেই শুনা যাচ্ছে এখানে ভ্যাকসিন এর সিরিয়াল টাকা দিয়েও কেনা সম্ভব। আজ তা আবারো দেখা গেলো।

হাসপাতালের কতৃপক্ষের চোখ ফাঁকি দিয়ে কাজ টা করা অসম্ভব। কেন না হাসপাতালের নিন্মশ্রেনীর কিছু কর্মচারী আছে যারা কিনা ২০০/৩০০ টাকায় লোকদেরকে পিছন দিয়ে একেবারে ভ্যাকসিন দেবার জায়গায় দিয়ে আসে। অথচ যেখান দিয়ে তারা টিকাদানকারীকে নিয়ে যায়, সেই গেইটের উপরেই রয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।

ভীতরে থাকা লোকজনদের সাথে আলাপকালে জানা গেছে তারা বাহিরে লাইন ধরে টিকা দিতে সময় লেগেছে প্রায় ৪ঘন্টা। অথচ অনেকেই টাকার বিনিময়ে মাত্র ৩০মিনিটেই টিকা দিয়ে আসতে পারে। হানিফ রানা নামের একজন টিকাদানকারীর সাথে কথা হয়েছে যিনি কিনা ভুইগর থেকে এসেছে। তিনি একটি বাইং হাউজের মালিক। অনেক ব্যস্ততার মাঝেও তাকে বাহিরে প্রায় ৪ঘন্টা লাইনে দাড়িয়ে থাকতে হয়েছে, এতে করে তার ব্যবসায়ীক কিছু সমস্যা হয়ে গেছে, তারপর ও নিয়ম ঠিক রেখেই টিকা দিয়েছেন।

জয়নাল চৌধুরী নামের একজনের সাথে কথা বলে জানা গেলো, সে ছোট একটা চাকুরী করে, তাকেও ছুটি নিয়ে টিকা দিতে আসতে হয়েছে। কিন্তু হাসপাতালের লোকজনই যদি টাকার বিনিময়ে এভাবে অন্যায়ভাবে সবাইকে টিকা দিয়ে দেয় তাহলে আমাদেরকে লাইনে কেনো দাঁড় করানো হলো।

এসবের জন্য লোকজন সবাই হৈচৈ শুরু করে দেয়। খবর নিয়ে জানা গেলো, কৃষ্ণা নামের একজন এভাবে বাহির থেকে লোকজনদেরকে টাকার বিনিময়ে পিছনের রাস্তা দিয়ে ভীতরে নিয়ে যায়।

রেড ক্রিসেন্ট এর লোকজন ও তাদের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে অনেক মানুষকে মেইনগেইট দিয়েই টিকার জায়গায় নিয়ে যায়।
সাধারণ মানুষজন লাইনে দাড়িয়ে বিরক্ত হয়ে একটা কথাই বলেছেন, এরকম অন্যায় কাজ করা যেনো বন্ধ হোক এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই ব্যাপারটা যেনো গুরুত্ব সহকারে দেখার অনুরোধ করলো।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত