আন্দোলন শুরু হলেই মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়বে: ফখরুল

| আপডেট :  ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১০:১৬  | প্রকাশিত :  ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১০:১৬

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে বিজয়ের আশা দেখছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। নিজের জেলায় আন্দোলনের ব্যাপারে জনগণের ব্যাপক স্বতস্ফূর্ততার বিষয়টি তুলে ধরতে গিয়ে আজ শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এই আশার কথা ব্যক্ত করেন।

২০১১ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী নিয়োগ পাওয়া ১০১৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারির চাকরিচ্যুতির দশ বছরপূর্তি দিবস উপলক্ষে ‘চাকুরিচ্যুতিদের মানবেতর জীবনযাপন’ শীর্ষক এ ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণ দাঁড়িয়ে আছে নিজের শক্তি নিয়ে। যখনই আন্দোলন শুরু হবে, যখনই সরকারকে পরাজিত করার যুদ্ধ শুরু হবে, তখনই তারা ঝাঁপিয়ে পড়বে। আমি সেই নিশ্চয়তা পেয়েছি।

ভার্চুয়াল সভায় যুক্তদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন বলেন, অতীতের যে আন্দোলনগুলোতে আমরা জয়লাভ করেছিলাম, আসুন সেগুলোর মতো জনগণের ঐক্য সৃষ্টি করে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করি, আইনের শাসনের প্রতিষ্ঠা করি। আজ এই হোক আমাদের শপথ।

তিনি বলেন, কখনো ভেঙে পড়বেন না, সবচেয়ে খারাপ অবস্থার মধ্যে থেকে তো আমাদেরকে উঠে আসতে হবে। আমাদের জেগে উঠতে হবে, আশপাশের মানুষকে জাগাতে হবে। আজ যারা তরুণ-যুবক আছেন তাদের জাগাতে হবে। এ যুদ্ধে জয়লাভ করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। অতিদ্রুত তা করতে হবে। নয়তো যত দিন যাবে, ততই দেশ ও জাতি বিনষ্টের পথে যাবে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকুরিচ্যুতির ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি একাত্মতা ও সমমর্মিতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আজকের এই অনুষ্ঠানে আমাদের নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেব আছেন। এটা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শুধু নয়, অন্যান্য দপ্তরগুলোতে, অন্যান্য বিভাগসহ বিভিন্নসহ জায়গায় বাংলাদেশি ভালোবাসা মানুষগুলো চাকুরিচ্যুত হয়েছে তারা মনের বল ফিরে পাবে। তারা শক্তি ফিরে পাবে এবং এই আশ্বাস, বিএনপি যদি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব জনগণের মাধ্যমে আবার ফিরে পায় তাহলে তাদের সমস্ত সমস্যা সমাধান করা হবে সন্মানের সাথে এই বিষয়গুলো অবশ্যই আমাদেরকে আশান্বিত করে।

ড. ফারুক আহমেদ শিপনের সভাপতিত্বে ও একেএম ওয়াহিদুজ্জামানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েম্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকুরিচ্যুতদের মধ্যে আতাউর রহমান, মজিবুর রহমান, আজিজুল হক, উর্মি রহমান, নুরুন্নাহার লাকী, ইয়াকুব মিয়া, আমির হোসেন, মিয়া হোসেন রানা, রবিউল ইসলাম রবি, আবদুল হালিম, আবু হানিফ খন্দকার, মামুনুর রহমান, আশরাফুল আলম, আকরাম হোসেন বক্তব্য রাখেন।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত