ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের সহযোগীর গাড়িতে গুলি, রাশিয়ার দিকে সন্দেহের তীর

| আপডেট :  ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:৫২  | প্রকাশিত :  ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:৫২

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের প্রধান সহযোগীকে বহনকারী গাড়িতে গুলির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার রাজধান কিয়েভ থেকে ৫ কিলোমিটার দূরবর্তী লেসনকি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ইউক্রেন সরকারের সিনিয়র কর্মকর্তারা ঘটনার জন্য রাশিয়া জড়িত থাকতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। তারা বলেছেন, হত্যার উদ্দেশ্যে এই হামলা চালানো হয়েছে।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, গাড়িতে ১২টি গুলি চালানো হয়। এতে গাড়িচালক আহত হয়েছেন।

ইউক্রেনের পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, হত্যাচেষ্টা সন্দেহে তারা একটি মামলা শুরু করেছেন।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লদিমির জেলেনস্কি রাজনৈতিক দল ‘সার্ভেন্ট অব দ্য পিপল পার্টি’র একজন সিনিয়র সংসদ সদস্য বলেন, হামলায় প্রেসিডেন্টের সহযোগী ‘সেরহি সেফি’ আঘাত পাননি।

এই সংসদ সদস্য বলেন, ঘটনার পরপরই আমি তার সঙ্গে কথা বলেছি, সবকিছু ঠিক আছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টে ভ্লদমির জেলেনস্কি জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে বর্তমান নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন। ঘটনার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেছেন, আমার বন্ধুর ওপর গুলি চালিয়ে আমাকে বার্তা দেওয়া কাপুরুষতা।

জেলেনস্কির রাজনৈতিক দলের প্রধান ওলেকজান্ডার করনিয়েনকো ঘটনায় রাশিয়ার হাত থাকতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেন, হামলায় রাশিয়ার জড়িত থাকার বিষয় উড়িয়ে দেওয়া যায় না। আমরা বিভিন্ন দেশে তাদের সংঘব্ধ হামলার বিষয় সম্পর্কে জানি।

তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই।

২০১৪ সালে সরকারবিরোধী বিক্ষোভের মুখে ইউক্রেনে রাশিয়াপন্থি সরকারের পতন হয়। এরপর ইউক্রেনের রুশভাষী পূর্বাঞ্চল দোনেৎস্ক আর দক্ষিণাঞ্চল লুহানস্ক অঞ্চলে রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ইউক্রেনের কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে তুলে নেন এবং সেখানে পিপলস রিপাবলিকস নামে আলাদা শাসনব্যবস্থা চালু করেন। এই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে ইউক্রেনের সরকারি বাহিনীর লড়াই অব্যাহত রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পক্ষে যুদ্ধ করার জন্য রাশিয়া সেনা পাঠিয়েছে। তবে মস্কো এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত