তাবলিগে জামাতের ১৩ মুসুল্লিকে অচেতন করে সর্বস্ব লুট

| আপডেট :  ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৭:৩৩  | প্রকাশিত :  ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৭:৩৩

ইমরান হোসেন,পটুয়াখালী থেকে: পটুয়াখালীতে তাবলিগে আসা ১৩ মুসুল্লিকে অচেতন করে সর্বস্ব লুট। তারা বর্তমানে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। এদের মধ্যে তিন জনের অবস্থা আশংকাজনক। শনিবার(২৫ সেপ্টম্বর) সকালে শহরের কলাতলা এলাকার বটতলা জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে।

তাবলিগ জমাতের মুসুল্লি মোঃ রাসেল জানান, বৃহস্পতিবার নারায়নগঞ্জ, ঢাকা, টাঙ্গাইলের বিভিন্ন এলাকার ১৫ জন মুসুল্লি তিন চিল্লার জন্য পটুয়াখালী আসেন। গত শুক্রবার তারা মারকাজ মসজিদ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শহরের কলাতলা এলাকার বটতলা জামে মসজিদে ১৫ জন সদস্য নিয়ে ওঠেন। এরপর আমরা আমাদের নিয়ম অনুযায়ী যে যার কাজ করি। পরে রাতের খাবার শেষ করে যার যার মতো ঘুমাতে যায়। এমন সময় আমাদের একজন সাথী মোঃ জুবায়ের আমাকে বলেন তার শরীরটা ভালো লাগছে না। এরপর আমরা আমাদের আমির সাহেবে কে জানিয়ে আমরা মসজিদ থেকে একটু সামনের দিকে ঘুরতে যাই ও ঘুরতে বের হওয়ার পরে আমদের সাথী মোঃ জুবায়ের আরও বেশি অসুস্থতা অনুভব করি। পরে আমাদের অবস্থা আরো খারাপ হতে শুরু করে। আমারা রাস্তায় হাটতে পারছিলাম না। অনেক কষ্ট করে আমরা মসজিদে ফিরে এসে কোন কিছু ঠিক না করেই ঘুমিয়ে যাই।

শনিবার(২৫ সেপ্টেম্বর) ফজরের সময় তাবলিগের ২ সদস্য উঠলেও বাকি ১৩ সদস্য ঘুম থেকে উঠতে পারেনি। পরে অচেতন অবস্থায় ১৩জনকে উদ্বার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন মসজিদে আসা মুসল্লিরা। সদস্যদের মধ্যে কয়েকজন সুস্থ হলেও ৩ জনের অবস্থা আশংকাজনক।

পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত ডা. মো. মাহমুদুর রহমান বলেন, অচেতন ১৩জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের শারিরিক পরিক্ষা রিপোর্ট পেলে বলতে পারবে তাদের অচেতন হওয়ার কারন।

বটতলা মসজিদের ইমাম কলিমুল্লাহ বলেন, তিনি ফজর নামাজের পূর্বে মসজিদের মোয়াজ্জেম আবদুস সোবাহানের ফোন পেয়ে মসজিদে এসে দেখতে পান সদস্যরা সবাই ঘুমাচ্ছে। অনেক ডাকার পরেও সদস্যরা কেউ ঘুম থেকে না উঠলে মসজিদ কমিটির সভাপতিকে বিষয়টি জানাই।

বটতলা মসজিদ কমিটির সভাপতি এ্যাডভোকেট মোঃ হারুন অর রশিদ জানান, ফজরের দিকে আমাকে মসজিদের ইমাম সাহেব ফোন করে আমাকে বিষয়টি অবহিত করলে আমি তারাতারি মসজিদে চলে যাই। মুসুল্লিদের অবস্থা দেখে আমি স্থানীয় মারকাস মসজিদের ইমাম ও ওসি সাহবকে জানাই। ও তাদের হাসপাতালে নেয়ার ব্যাবস্থা করি। তবে কারো কোন টাকা পয়সা হারানোর ব্যাপার আমি শুনিনি। তবে আামি শুনেছি তাবলিক জামাতের মুসুল্লিদের মধ্যে দুটি গ্রুপ রয়েছে। তাদের মধ্যে থেকে এ সমস্যা হতে পারে।

পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার মোরশেদ বলেন, ঘটনা শোনার সাথে সাথে পুলিশ পাঠিয়েছি। অসুস্থ মুসুল্লিদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত