বাগেরহাটে করোনাকালে বেড়েছে বাল্যবিবাহ

| আপডেট :  ০১ অক্টোবর ২০২১, ০৫:১৪  | প্রকাশিত :  ০১ অক্টোবর ২০২১, ০৫:১৪

সোহেল রানা, বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাট জেলায় করোনা কালে আশঙ্কাজনকহারে বেড়েছে বাল্য বিবাহ। সরকারি তথ্য অনুযায়ী বাগেরহাটে করোনাকালীন সময়ে বাল্য বিবাহের শিকার হয়েছে প্রায় ৩ হাজার ১৭৮ জন শিক্ষার্থী। বাগেরহাট জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৮ মার্চ থেকে চলতি বছরের ১২ সেপ্টম্বর পর্যন্ত বাগেরহাট জেলায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের ৫২২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩ হাজার ১৭৮জন শিক্ষার্থী বাল্য বিবাহের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে কচুয়া উপজেলায় ৫১৬ টি, সদর উপজেলায় ৪৯৭টি বাল্য বিবাহ হয়েছে।

এছাড়া চিতলমারীতে ৪০৭, ফকিরহাটে ৩৯১, মোল্লাহাটে ৩৪৪, মোরেলগঞ্জে ৩৫৫, রামপালে ২৩৭, মোংলায় ২১৮ এবং শরণখোলায় ২১৩টি বাল্য বিবাহ হয়েছে।

এর বাইরে ও জেলার বিভিন্ন স্নাতক, স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিক্ষার্থীরাও বাল্য বিবাহের শিকার হয়েছে। যাদের সঠিক পরিসংখ্যান নেই কোন দপ্তরের কাছে।

মাত্র দেড় বছরে বাগেরহাট জেলায় বিপুল সংখ্যক বাল্য বিবাহ হওয়ায কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও অভিভাবকদের সচেতনতার অভাবকে দায়ী করেছেন সচেতন মহল।

বাগেরহাট মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান ও নারী অধিকার কর্মী এ্যাড. শরিফা খানম বলেন, ‘করোনাকালীন সময়ে সবকিছু এক ধরণের স্থবির হয়ে পড়ে। সেই সাথে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ, মুঠোফোনের অতিরিক্ত আসক্তি, সচেতনতার অভাব ও দারিদ্রের কারণে বাল্য বিবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে।

করোনাকালীন সময়ে এটা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। এটা নিয়ে এখন নতুন করে ভাবার সময় এসেছে। বাল্য বিবাহ বন্ধের জন্য আইনের প্রয়োগের সাথে সাথে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত