রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক ও অস্ত্রের ব্যবসা বন্ধে প্রয়োজনে গুলি ছুড়তে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কক্সবাজারের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক ও অস্ত্র বাণিজ্য বন্ধে প্রয়োজনে গুলি ছুঁড়তে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। আজ শুক্রবার দুপুরে সিলেটে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন ও জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত স্বাস্থ্যবিষয়ক আলোচনা সভা শেষে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অব্যাহত এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতরে ও বাইরে যাতে আইনশৃঙ্খলা আরও উন্নত করা যায় সে বিষয় নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার একটা সভা হয়েছে। এরপরও আজকে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটে গেল। ব্রাশফায়ার করে সাতজনকে হত্যা করা হলো, এটা খুবই আতঙ্কের বিষয়।’
আব্দুল মোমেন বলেন, ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ঠেকাতেই ক্যাম্পে একের পর এক হত্যাকাণ্ড ঘটানো হচ্ছে। অনেকেই মিয়ানমারে আর ফেরত যেতে চায় না। তাদের স্বার্থে আঘাত লাগে। তারাই হয়তো রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একের পর এক হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব।’
মুহিবুল্লাহ হত্যার সঙ্গে পরবর্তী সন্ত্রাসী তৎপরতা কিংবা অপকর্মের যোগসাজশ রয়েছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন লোক বলছেন ওখানে মাদকের ব্যবসা হয়। আবার কেউ কেউ তথ্য দিয়েছেন, কিছু উইপন ও বন্দুকটন্দুকও আনা হয়। আমরা এসব নিয়ে গতকাল আলোচনা করেছি। আমার প্রস্তাব হলো, এই ড্রাগ ও অস্ত্র আসা পুরোপুরি বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনে গুলি ছুড়তে হবে। অনেক লোক (রোহিঙ্গা) ফেরত যেতে চান না, তাঁদের স্বার্থে আঘাত লাগে।’
এদিকে, তিস্তার পানি হুট করে বাংলাদেশে ছেড়ে দেওয়া প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের স্বরাষ্ট্রসচিব ভারতীয় হাইকমিশনের সঙ্গে আলাপ করবেন। পানির বিষয়টি ভারত আগে আমাদেরকে জানিয়েছিল কিনা, আমি জানি না। তবে একাধিক বিষয় নিয়ে হাইকমিশনারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা হবে। আমাদের দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক, সরকারি সম্পর্ক খুবই দৃঢ়।’
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত