‘ভ্যাকসিনেটেড’ ছাড়া বাকি সবাই লকডাউনে, অস্ট্রিয়ায়

| আপডেট :  ১৪ নভেম্বর ২০২১, ১০:৩৭  | প্রকাশিত :  ১৪ নভেম্বর ২০২১, ১০:৩৭

চ্যান্সেলর আলেকজান্ডার শ্যালেনবার্গ আজ রবিবার বলেন, রেকর্ড মাত্রায় সংক্রমণের বৃদ্ধি মোকাবেলায় অস্ট্রিয়া সোমবার পর্যন্ত করোনভাইরাসটির বিরুদ্ধে সম্পূর্ণরূপে টিকা দেওয়া হয়নি এমন লাখো লোককে লকডাউনে রাখছে।

ইউরোপ আবার কভিড-১৯ মহামারির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। তাই অনেক দেশের সরকারকেই ফের লকডাউনের কথা বিবেচনা করতে হচ্ছে।

অস্ট্রিয়ার জনসংখ্যার প্রায় ৬৫ শতাংশ সম্পূর্ণরূপে কভিড-১৯ টিকা দেওয়া হয়েছে। যা পশ্চিম ইউরোপের সর্বনিম্ন হারগুলোর মধ্যে একটি। আর এর কারণ, অনেক অস্ট্রিয়ানই ভ্যাকসিন সম্পর্কে সন্দিহান।

নেদারল্যান্ডস আংশিক লকডাউন দিয়ে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি মোকাবেলার চেষ্টা করছে, যা সকলের জন্য প্রযোজ্য। অস্ট্রিয়ার রক্ষণশীল নেতৃত্বাধীন সরকার বলেছে, তারা সম্পূর্ণ টিকাপ্রাপ্তদের ওপর আরো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা এড়াতে চায়।

অস্ট্রিয়ার ৯টি প্রদেশের গভর্নরদের সঙ্গে একটি ভিডিও কনফারেন্সের পর শ্যালেনবার্গ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমাদের অবশ্যই টিকা দেওয়ার হার বাড়াতে হবে। এটি লজ্জাজনকভাবে কম।

১২ বছর বা তার কম বয়সীদের লকডাউনে থাকতে হবে না। টিকা না-দেওয়া ব্যক্তিরা কেবল সীমিত পরিসরে তাদের বাড়ি থেকে বের হতে পারবে- যেমন কাজ করতে বা প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে যাওয়া। স্বাস্থ্যমন্ত্রী উলফগ্যাং মুকস্টেইন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এটি প্রাথমিকভাবে ১০ দিন।

শ্যালেনবার্গের রক্ষণশীল দল এবং পুলিশসহ অনেক কর্মকর্তা মনে করেন, এ ধরনের লকডাউন সঠিকভাবে প্রয়োগ করা যেতে পারে কারণ এটি শুধুমাত্র জনসংখ্যার একটি বিশেষ অংশের জন্য প্রযোজ্য। শ্যালেনবার্গ এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কার্ল নেহামার বলেন, তবে পুলিশ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিষয়টি যাচাই করবে।
সূত্র : ফ্রান্স ২৪, রয়টার্স

 

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত