বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ, মুসলিম জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার দাবি

| আপডেট :  ২১ মে ২০২১, ০৫:২৬  | প্রকাশিত :  ২১ মে ২০২১, ০৫:২৬

ফিলিস্তিনে মুসলিমদের ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদ ও তা বন্ধের দাবিতে ঢাকায় বিক্ষোভ করেছে খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ ও সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদ। শুক্রবার (২১ মে) জুম্মার নামাজের পর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেট থেকে শুরু করে মিছিলটি পল্টনের নাইটেঙ্গেল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সমাবেশ থেকে মুসলিম দেশগুলোর প্রতি মুসলিম জাতিসংঘ খোলার দাবি জানানো হয়েছে।

খেলাফতে মজলিসের সমাবেশ থেকে ফিলিস্তিনি মুসলমানদের ওপর পৈশাচিক হামলা, নির্যাতন ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধে বিশ্ব বিবেককে ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়ে সমাবেশে খেলাফতে মজলিস নেতারা বলেন, এই ঘটনায় বিশ্ব বিবেক নীরব থাকলেও বাংলাদেশি মুসলমান-শান্তিকামীরা সরব এবং ফিলিস্তিনের পাশে আছে।

খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক কে এম আলম বলেন, জাতিসংঘ এবং ঐক্যবদ্ধ বিশ্ব মুসলিম শক্তিকে আহ্বান জানাচ্ছি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ভূমিকা পালন করার জন্য। ইসরায়েল নিজেই অবৈধ। অথচ তারা নিজেরাই অবৈধভাবে শক্তি প্রয়োগ করছে ফিলিস্তিনী নর-নারীর ওপরে। এটা কোনোভাবে বরদাস্ত করা যায় না।

তিনি বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য ইসরায়েলের পৈশাচিক দখল, নিরীহ মানুষের ওপর হামলা-নির্যাতন খুনের ঘটনায় বিশ্ববিবেক এখনো নীরব ভূমিকা পালন করছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই ফিলিস্তিনি মুসলমান ভাই-বোনদের পাশে রয়েছে বাংলাদেশের মুসলমান শান্তিকামী মানুষ।

এর আগে মসজিদের সিঁড়িতে বিক্ষোভ করেন আরও দুটি সংগঠনের কর্মী-সমর্থকরা। বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ ও ইউনাইটেড মুসলিম উম্মাহর ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিলে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের বোমা হামলার প্রতিবাদে বিভিন্ন স্লোগান দেয়া হয়। ‘ইসরায়েলের কালো হাত ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘ইহুদিবাদ নিপাত যাক’ স্লোগানে স্লোগানে পল্টন এলাকা প্রকম্পিত হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশে গাজায় হামলা নিয়ে বিশ্ব নেতৃত্বের নীরবতার নিন্দা জানানো হয়। জাতিসংঘ, ওআইসি আরব লীগ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর নীরবতাকে ‘বোবা শয়তান’ বলেছেন বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফেজ মাওলানা আবদুস সাত্তার।

অপরদিকে সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফেজ মাওলানা আবদুস সাত্তার বলেন, ইসরায়েল শান্তিপ্রিয় ফিলিস্তিনের নারী, পুরুষ, মাসুম শিশু, যুবকসহ সর্বস্তরের মুসলিম জনগণের ওপর যে বর্বোরোচিত হামলা চালিয়ে আসছে তা দেখেও নীরব জাতিসংঘ, ওআইসি, আরবলীগসহ তথাকথিত মানবাধিকার সংস্থাগুলো। এটা লজ্জার। তাদের নীরবতা দেখে মনে হয় তারা বোবা শয়তানের পরিচয় দিচ্ছে। তাই আমরা প্রতিবাদ সভা থেকে আলাদা মুসলিম জাতিসংঘ খোলার দাবি জানাচ্ছি মুসলিম দেশগুলোর প্রতি।

প্রসঙ্গত, গত ১০ মে শুরু হওয়া হামাস-ইসরায়েলের মধ্যে এই সংঘাতে গাজায় ২৩২ জন নিহত হয়। যার মধ্যে ৬৫ জন শিশু ও শতাধিক নারী। আহত হয়েছে প্রায় এক হাজার ৯০০ জন। অন্যদিকে হামাসের রকেট হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছে ১২ জন। অবশেষে ইসরায়েল ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে। টানা ১১ দিন গাজাকে রক্তাক্ত জনপদে পরিণত করা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে গাজায় হামলা বন্ধের এ ঘোষণা দেয়া হয়।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত