দুমকিতে মাঠ জুড়ে সবুজের সমারোহ, আগাম জাতের ধান কাঁটা শুরু
জুবায়ের ইসলাম, দুমকি, পটুয়াখালী প্রতিনিধি: সারা মাঠ জুড়ে সবুজের সমারোহ। কৃষকের দু’ চোখ ভরা সবুজ স্বপ্ন। যতদূর দৃষ্টি যায় শুধু সবুজ আমনের ক্ষেতে বাতাসে দোল খাচ্ছে। প্রতিটি ক্ষেত এখন পরিপূর্ন নব যৌবনে হাতছানি দিয়ে ডাকছে কৃষকদের। ভালো ফলনের আশায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। দক্ষিনাঞ্চলের অন্যতম নদী বিধৌত এবং কৃষি সমৃদ্ধ পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকার মাঠে মাঠে সবুজ আমনের ক্ষেতে দোল খেয়ে যায় হেমন্তের শীতল বাতাস। আবার কোথাও কোথাও উচ্চ ফলনশীল ও স্হানীয় জাতের ধান পেঁকে সোনালী আকার ধারন করেছে। কৃষকরা মহা আনন্দে ধান কাটায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। চলতি আমন মৌসুমে বাম্পার ফলনের আশা করছেন এ উপজেলার কৃষকরা।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মেহের মালিকা জানান, চলতি আমন মৌসুমে ৬৬৩০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। আবাদ হয়েছে ৬৬৪০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান চাষ হয়েছে ২৪৯৫ হেক্টর জমিতে এবং স্হানীয় জাতের ধান চাষ হয়েছে ৪১৪৫ হেক্টর জমিতে। উচ্চ ফলনশীল জাতের মধ্যে ব্রিধান-৫২, ব্রিধান-৭৩, ব্রিধান-৭৬, ব্রিধান-৮৭ উল্লেখযোগ্য। তিনি আরো বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে পোকা নিধনের নির্দেশনা সংবলিত লিপলেট বিতরণসহ কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ ও তদারকি করা হয়েছে।
উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের কোহার জোড়ের কৃষক আবু হানিফ জানান, তিনি ৪৪ শতাংশ জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের ব্রিধান- ৫২, স্হানীয় জাতের স্বর্ন-গোডা- ৫০ শতাংশ ও ৮০ শতাংশ দেশী মোটা ধানের চাষ করেছেন। এর মধ্যে ব্রিধান-৫২ আজ কাটা শুরু করেছেন, ফলন খুব ভাল হয়েছে। তবে ইঁদুরে কিছুটা বিনষ্ট করেছে। প্রতি শতাংশে ২৫-৩০ কেজি ফলন পাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন।
মুরাদিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের কৃষক কালাম চৌকিদার জানান, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমনের ফলন খুব ভালো, তারা খুবই খুশি। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার পাঙ্গাশিয়া, লেবুখালী, আঙ্গারিয়া, মুরাদিয়া ও শ্রীরামপুর ইউনিয়নসহ উপজেলার সকল মাঠের ফলন ভালো হয়েছে এবং কৃষকরা খুশি।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত