জুমার নামাজ শেষে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি হামলা (ভিডিও)
শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে ফিলিস্তিনি অধিবাসীরা হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে হওয়া যুদ্ধবিরতি উদযাপনে মসজিদ প্রাঙ্গণে সমবেত হলে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি হামলা চালিয়েছে পুলিশ।
এছাড়া ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী দল হামাসের ছোড়া রকেটে ইসরায়েলে ২ শিশুসহ নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৩ জনে। সেখানে আহত হয়েছেন অন্তত ৩০০ জন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আল-জাজিরাকে জানিয়েছে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর জেরুজালেমের ওল্ড সিটিতে অবস্থিত ইসলামের তৃতীয় পবিত্র স্থান আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে ফিলিস্তিনিদের ওপর চড়াও হয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ।
ইসরায়েলি পুলিশের মুখপাত্র মিকি রোজেনফিল্ড বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, প্রথমে ফিলিস্তিনিরা পুলিশ কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করতে শুরু করে। জবাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাবার বুলেট ছুড়েছে পুলিশ।
তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস, স্টান গ্রেনেড, ধোঁয়া বোমা ও সরাসরি গুলি চালানোর ঘটনাও ঘটেছে। ফিলিস্তিনিরা পরে পাল্টা প্রতিরোধ করতে শুরু করলে সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। সেখানে সংঘর্ষ বাধে। আগের মতো বলপ্রয়োগের মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের ছত্রভঙ্গ করতে শুরু করে ইসরায়েলি পুলিশ।
পূর্ব জেরুজালেম থেকে আল-জাজিরার প্রতিনিধি ইমরান খান জানিয়েছেন, ‘ফিলিস্তিনিরা তখন গান গাচ্ছিল ও স্লোগান দিচ্ছিল। তার পাশে থাকা ইসরায়েলি পুলিশ মসজিদ প্রাঙ্গণে আসে এবং সবাইকে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার চেষ্টা করে; তারা সবসময় এটা করে আসছে। পুলিশ ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে এ সময় স্টান গ্রেনেড, ধোঁয়া বোমা ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে শুরু করলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।’
‘তারা (ইসরায়েলি পুলিশ) তখন ফিলিস্তিনিদের ছত্রভঙ্গ করতে তাদের ওপর গুলিও ছোড়ে’ বলে জানিয়েছেন আল-জাজিরার প্রতিনিধি।
ইসরায়েলি পুলিশ বলছে, পুলিশকে লক্ষ্য করে কয়েকশ তরুণ পাথর ও মলোটভ ককটেল ছুঁড়তে শুরু করলে দাঙ্গা বাধে। জেরুজালেমের পুলিশ কমান্ডার ‘দাঙ্গাকারীদের ঠেকাতে’ পুলিশ কর্মকর্তাদের আল-আকসার ভেতরে ঢোকার নির্দেশ দেন বলে দাবি করেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, আল-আকসা মসজিদে ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা ও তার পর হামাসের পাল্টা জবাবের পর থেকে গত ১০ মে ইসরায়েল গাজায় বোমা হামলা শুরু করে। শতাধিক নারী ও শিশুসহ ২৩০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। যুদ্ধবিরতি কার্যকরের দিনেই নতুন করে এমন সংঘর্ষ শুরু হওয়ায় উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত