পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোন

| আপডেট :  ১৬ ডিসেম্বর ২০২১, ১১:২৪  | প্রকাশিত :  ১৬ ডিসেম্বর ২০২১, ১১:২৪

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের এক সপ্তাহের মধ্যেই বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনকে টেলিফোন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। বুধবার সন্ধ্যায় দুজনের মধ্যে ফোনালাপ হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন সন্ধ্যায় সমকালকে বলেন, বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আলোচনা ফলপ্রসূও হয়েছে।

জানা যায়, অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন যখন আব্দুল মোমেনকে তার মোবাইলে ফোন করেন তখন তিনি বঙ্গভবনে ছিলেন। ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের সৌজন্য সাক্ষাৎ ও নৈশভোজে যোগ দিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বঙ্গভবনে থাকাকালেই ফোনটি ধরেন।

গত ৯ ডিসেম্বর র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) ড. বেনজীর আহমেদ ও বর্তমান ডিজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনসহ র‌্যাবের সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট (রাজস্ব বিভাগ) ও পররাষ্ট্র দপ্তর। পরদিনই ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলারকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। দুই দেশের সম্পর্কের এমন টানাপড়েনের মধ্যেই বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোন আসে।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে গত ৫০ বছরে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সুসম্পর্ক এবং আগামী বছরগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো জোরদারের বিষয়ে দুজনই একমত পোষণ করেছেন।’

সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর অধীনে একাধিক বৈঠক হয়ে থাকে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ফোরাম হচ্ছে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে পার্টনারশিপ ডায়ালগ। পার্টনারশিপ ডায়ালগ ছাড়াও বিভিন্ন বৈঠকে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে দুদেশের মধ্যে আলোচনা হয়। তারা যেসব বিষয়ে জানতে চায় সেটির উত্তর দেওয়া হয়। এরপরও এককভাবে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত