‘আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করলে দাঁত ভাঙা জবাব দেবে আ’লীগ’

| আপডেট :  ২০ ডিসেম্বর ২০২১, ১২:১২  | প্রকাশিত :  ২০ ডিসেম্বর ২০২১, ১২:১২

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান বলেছেন, বিএনপি আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করলে আওয়ামী লীগ দাঁত ভাঙা জবাব দেয়া হবে। এ দেশে নির্বাচন করতে হলে নাকি সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। পদত্যাগ করেই নাকি নতুন করে নির্বাচন দিতে হবে। আমি বলতে চাই- তোমাদের এই দিবাস্বপ্ন কোনো দিন সফল হবে না। সংবিধান সম্মতভাবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে এবং ওই নির্বাচনে শেখ হাসিনা আবারও নির্বাচিত হবেন, আবারও প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর ডেমরার ডগাইর রুস্তম আলী স্কুল মাঠে মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ৬৬নং ওয়ার্ডের আওতাধীন ইউনিট আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব, মামা বাড়ির আবদার করলে চলবে না। সংবিধানসম্মতভাবেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। কিন্তু সংবিধানের বাহিরে গিয়ে বাংলাদেশে নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চান, আওয়ামী লীগ তার দাঁত ভাঙা জবাব দেবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, বাংলার প্রতিটি অন্ধকারাচ্ছন্ন গ্রামকে আলোকিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি পদ্মা, মেঘনা, যমুনার কূলে কূলে লক্ষ্য কোটি মানুষের মুখে অন্ন তুলে দিয়েছেন। বস্ত্রহীন মানুষকে বস্ত্র দিয়েছেন। গৃহহীন মানুষকে ঘরের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। শেখ হাসিনা কখনো বাংলার মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেননি। মুক্তির পথের সন্ধান দিয়েছেন। অথচ আজকের এই উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা ও সমৃদ্ধির পথকে রুদ্ধ করে দেওয়ার জন্য ৭১-এর পরাজিত শক্তি ও ৭৫-এর ঘাতকরা ষড়যন্ত্র করছেন। কিন্তু বাংলার মানুষ শেখ হাসিনাকে টানা তিনবার ম্যান্ডেট দিয়েছেন। ৯৬ সালে ম্যান্ডেট দিয়েছেন। শেখ হাসিনা বাংলার মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেনি। রাজাকার, আলবদর, আলশামস, যুদ্ধপরাধীদের বিচার করেছেন। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিয়ে প্রমাণ করে দিয়েছেন শেখ হাসিনা খুনিদের বিচার করতে জানে।

আব্দুর রহমান বলেন, পঁচাত্তরে পিতা হারানোর পর একাত্তরের শকুনেরা ভেবেছিল বাংলার মানচিত্র খাবলে খাবে। ওরা ভেবেছিল সকল ইতিহাস মুছে ফেলবে। কিন্তু সেই ইতিহাস মুছে ফেলা সম্ভব হয়নি। নানা ঘাত-প্রতিঘাত পাড়ি দিয়ে দীর্ঘ অপেক্ষার পর সেদিন শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসেছিলেন। দেশে এসে তিনি মৃত্যুকে তুচ্ছ মনে করে একটি অচল বাংলাদেশকে সচল করেছেন। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত করেছেন। শেখ হাসিনার আজ নিজ গুণে বাংলাদেশের সীমানা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক বিশ্বসভায় ঠাঁই করে নিয়েছেন। আজ যখন শুনি বিশ্বের তিনজন সৎ সরকার প্রধানের একজন শেখ হাসিনা, তখন গর্বে আমাদের বুক ভরে যায়, মাথা উঁচু হয়ে যায়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মিজবাহুর রহমান ভূইয়া রতন ও শরফুদ্দীন আহমেদ সেন্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মাহি, ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খান মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মোল্লা সজল।

অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবাবধানে ছিলেন ৬৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ইউনিট প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক শাহাবুদ্দিন ও সদস্য সচিব হানিফ তালুকদার। সম্মেলন উদ্বোধন করেন মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আবু আহমেদ মন্নাফী এবং প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. হুমায়ুন কবির।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত