বাংলাদেশের ক্লাব থেকে বিশ্বের অন্যতম সেরার দলে
শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের সহকারী কোচ ছিলেন ভারতে জন্ম নেওয়া ফ্রান্সেসকো জোস ব্রুতো দা কস্তা। কয়েক দিন আগে সে কস্তাই মিসর জাতীয় দলের কোচিং স্টাফে যোগ দিয়েছেন। কাজ করছেন দলটির বিখ্যাত প্রধান পর্তুগিজ কোচ কার্লোস কুইরেজের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে। যে দলের প্রাণভোমরা বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার মোহাম্মদ সালাহ। মিসর থেকে সঙ্গে অভিজ্ঞতার গল্প শুনিয়েছেন কস্তা।
ভারতীয় হলেও কয়েক বছর আগে পর্তুগালের নাগরিকত্ব পাওয়ায় পর্তুগিজ পাসপোর্ট ব্যবহার করেন ৪০ বছর বয়সী কস্তা। মিসরে যাওয়ার আগে দুই দফায় তিনি শেখ রাসেলের সহকারী কোচের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে এসে ৫ মাস কাজ করে ভারতে ফিরে গিয়ে আইএসএলের কেরালা ব্লাস্টার্সের সহকারী কোচের দায়িত্ব নেন। গত মৌসুমে আবার শেখ রাসেলে ফিরে এসে পুরো মৌসুমজুড়ে কাজ করেছেন। বাংলাদেশ থেকে এবার সরাসরি মিসর জাতীয় দলের কোচিং স্টাফ বহরে তাঁর অন্তর্ভুক্তি।
মিসর ফুটবল এখন পর্তুগিজময়। প্রধান কোচ কুইরোজ ছাড়াও টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের দায়িত্ব পালন করছেন পর্তুগিজ নেলো ভিঙ্গাদা। যিনি আবার ২০১৯ সালে কেরালার ব্লাস্টার্সের প্রধান কোচ ছিলেন। মিসরে কাজ করার প্রস্তাবটি তাঁর কাছ থেকেই আসে কস্তার কাছে। কস্তা বলেন, ‘মিসরের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর নেলো ভিগ্রাদা জিজ্ঞাসা করলেন তাঁর অধীনে কাজ করব কি না? সে সুযোগটায় নিয়েছি।’
মিসরের আগে পর্তুগাল, ইরান, কলম্বিয়ার মতো জাতীয় দলের কোচ ছিলেন কুইরোজ। ক্লাব কোচিং অধ্যায়ও ঝলমলে। রিয়াল মাদ্রিদের প্রধান কোচ ছাড়াও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ছিলেন স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের সহকারী। সেই কুইরোজের সঙ্গে কাজ করতে পেরে রোমাঞ্চিত কস্তা, ‘কুইরোজের কাজ খুব সূক্ষ্ম। অনুশীলন, ক্লাস, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাসহ সবকিছুরই পুঙ্খানুপুঙ্খ গভীরতা চান। ব্যক্তিগতভাবে প্রত্যেক খেলোয়াড়কে নিয়েও গভীরভাবে বিশ্লেষণ করেন।’
মোহাম্মদ সালাহ এখন বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। লিভারপুল সমর্থকদের নয়নের মণি। তাঁর সঙ্গে কাজ করতে পেরে উচ্ছ্বসিত কস্তা, ‘সালাহ খুবই সাধারণ একজন মানুষ। দলের অন্য সব খেলোয়াড়ের মতোই তাঁর সাধারণ আচরণ। সে যে বড় খেলোয়াড়, তাঁর ব্যবহারে কখনো বোঝা যায় না।’
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত