ইসরাইলকে হুশিয়ারি ফিলিস্তিনের

| আপডেট :  ২৩ মে ২০২১, ০৯:১৯  | প্রকাশিত :  ২৩ মে ২০২১, ০৯:১৯

দখলদার ইসরাইলকে হুশিয়ারি দিয়েছে ফিলিস্তিনের সরকার। ধর-পাকড় ও হয়রানি বন্ধ না হলে ইহুদিবাদী দেশটির সঙ্গে সংঘাত বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে ফিলিস্তিন। রোববার ফিলিন্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেইন এ সতর্কতার কথা জানান। খবর-বার্তা সংস্থা ওয়াফার।

ইসরাইলি বাহিনী যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর শেখ জাররাহ ও আল-আকসা মসজিদে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। পাশাপাশি বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে। এই পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র জানিয়েছেন, এসব ঘটনা পুনরায় উত্তেজনায় টেনে নিয়ে যেতে পারে।

তিনি বলেন, ইসরাইলি দখলদার সরকারের সরসরি এসব নাশকতা বন্ধে বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন দায়বদ্ধ। পাশাপাশি যুদ্ধবিরতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ও গাজা পুর্নগঠনে সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এবং মার্কিন প্রাশাসনের সঙ্গে মিসরের প্রচেষ্টার বিষয়টিও তুলে ধরেন।

ইসরাইলি নীতির উসকানি ও উত্তেজনা বন্ধ করতে তিনি মার্কিন প্রশাসনকে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছেন। কারণ, ইসরাইলি সরকার এই অঞ্চলকে পেছনের সংঘাতের দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে।

এ সময় আবু রুদেনি জোর দিয়ে বলেন, জেরুজালেম নিয়ে মূল যুদ্ধ হয়েছিল এবং এটি এখনো চলামান রয়েছে।

এদিকে আল-আকসার তদারককারী কর্তৃপক্ষ দ্য ওয়াক্ফ বলেছে, আল-আকসা মসজিদে প্রবেশে বাধার মুখে পড়ছেন ফিলিস্তিনিরা। ফিলিস্তিনি আবেদন করলেও ৪৫ বছরের নিচে কাউকেই মসজিদটিতে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। মসজিদে প্রবেশে ইচ্ছুক ফিলিস্তিনিদের পরিচয়পত্র কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া অন্তত তিন ফিলিস্তিনিকে আটক করা হয়েছে।

এর আগে যুদ্ধবিরতির কয়েক ঘণ্টা পর শুক্রবার জুমার নামাজের জন্য আল-আকসায় জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালায় ইসরাইলি পুলিশ।

পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণটি একই সঙ্গে মুসলিম ও ইহুদিদের জন্য পবিত্র স্থান বলে বিবেচিত হয়। মুসলিমরা একে আল হারাম আল শরিফ নামে ডেকে থাকেন। আর ইহুদিরা এ স্থানটিকে ডাকেন টেম্পল মাউন্ট নামে।

১৯৬৭ সালে আরব-ইসরাইল যুদ্ধের পর যখন ইসরাইল এই এলাকায় প্রবেশাধিকার পায় তখন শুধু মুসলিমরাই আল-আকসায় নামাজ পড়তে পারত। দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় প্রার্থনার সুযোগ পেত ইহুদিরা।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত