বিএনপি-জামায়াত নয়, ইসলাম ধর্মের জন্য কাজ করে আ. লীগ: তথ্যমন্ত্রী

| আপডেট :  ২৬ জানুয়ারি ২০২২, ১২:১১  | প্রকাশিত :  ২৬ জানুয়ারি ২০২২, ১২:১১

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচন এলেই ধর্মকে ব্যবহার করে বিএনপি। কিন্তু ধর্মের জন্য কোনো কাজ করে না তারা। মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রেষ্ঠ পুরস্কার ২০২১ এবং করোনা সচেতনতা আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন এলে ধর্মকে ব্যবহার করে বিএনপি-জামায়াত। কিন্তু ধর্মের জন্য কোনো কাজ করেনি তারা। বরং ধর্মীয় হানাহানি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালায়। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ধর্মকে ব্যবহার করে না। এই দল ইসলামের জন্য, আলেম- ওলামাদের খেদমতের জন্য কাজ করে। অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের অধিকার সুনিশ্চিতে কাজ করে।’

ড. হাছান বলেন, ‘ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মের কল্যাণের জন্যও রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কাজ করা হয়। কারণ, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সব ধর্মের মানুষের মিলিত রক্তস্রোতে আমরা অর্জন করেছি স্বাধীন বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুকন্যা ধর্মপ্রাণ জননেত্রী শেখ হাসিনা ইসলামের জন্য যত কাজ করেছেন, এদেশে আর কারো আমলে তা হয়নি।’

তিনি বলেন, দেশের আলেম সমাজের শতবর্ষের পুরোনো দাবি ছিল একটি ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা। দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত ইসলামি প্রজাতন্ত্র পাকিস্তান আমলেও এই দাবি পুরণ হয়নি। জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। এটি এখন আর স্বপ্ন নয়, এটি বাস্তবতা।

মন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া, এরশাদ সাহেব কেউই কওমি মাদরাসার স্বীকৃতি দেননি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই মাদরাসার শিক্ষা সনদের স্বীকৃতি দিয়েছেন, সব অপপ্রচার ঘুচিয়ে তাদের চাকরিও দিয়েছেন’ ।

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মসজিদ স্থাপনের কাজ শুরু করেছেন। বহু জেলা এবং উপজেলায় মসজিদ ইতোমধ্যে নির্মিত হয়েছে। উদ্বোধনও হয়েছে। আমরা ১৩ বছর আগে সরকার গঠনের আগে দেশে হাতেগোনা কয়েকটি মসজিদভিত্তিক মক্তব ছিল। আর আলেমরা ভাতা পেতো ৫০০ টাকা। শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর প্রায় ২ লাখ মসজিদভিত্তিক মক্তব প্রতিষ্ঠা হয়েছে। প্রতি মক্তবে একজন আলেম ৫ হাজার ২০০ টাকা করে ভাতা পান। এটি কেউ কখনও ভাবেনি।’

বিএনপি-জামায়াত ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত একযোগে ক্ষমতায় ছিল। তারা এই কাজগুলো করেনি উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করেছে। মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনে ধর্মবিরোধী শ্লোগান, সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়ে ভোটগুলো নিজের বাক্সে নেয়ার জন্য চেষ্টা করেছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পবিত্র ইসলামের কল্যাণে অনেক কাজ করেছিলেন। ইসলামি ফাউন্ডেশন তার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশে মদ, জুয়া, হাউজি উনি বন্ধ করেন। যেগুলো বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর জিয়াউর রহমান চালু করেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে সব ধর্মের কল্যাণে কাজ করছেন।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত