লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে আমানিয়া রোডের বেহাল দশা!

| আপডেট :  ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৯:৩৩  | প্রকাশিত :  ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৯:৩২

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের হাজিরহাট ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটের পুঁজি করে ওয়াদা দিয়েও জনগুরুত্বপূর্ণ আমানীয়া রোডের দক্ষিণ অংশ যাহা বর্তমানে জাগরণি স্কুল রোডে জনপ্রতিনিধিরা কোনো কাজ করেনি প্রায় ২০ বছর।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় আমানীয়া রোড বর্তমানে জাগরণি স্কুল রোড নামে দেড় কিলোমিটার যাহা কলেজ রোডের সাথে গিয়ে মিশেছে। এ রোডের এক কিলোমিটার রাস্তা ২০০০ সালে সলিং হলেও বাকী আধা কিলোমিটার রাস্তা কাঁচা। দীর্ঘ ২০ বছরেও সলিং ও ৪০ দিনের কর্মসুচীতে এ রাস্তায় এক মুঠো মাটিও পড়ে নাই।



সরজমিন ও কাগজপত্রে দেখা যায় এ রাস্তাটি আমানিয়া রোড ও জাগরণি স্কুল রোড নামে আছে। এ রাস্তাটি দুটি নামে থাকায় কোন প্রকল্প হাতে নিতে পারে নি উপজেলা প্রকৌশলী। তবে নিজাম উদ্দিন চেয়ারম্যান প্রকল্প দিতে পারতেন কিন্তু তিনি তা করেন নি।

এ রাস্তার কিছু কিছু যায়গা রাস্তার পাশে থাকা ক্ষেতের সাথে মিশে গেছে এবং কোথাও কোথাও রাস্তা ভেঙে খালের মধ্যে পড়েছে বেশিরভাগ অংশ। এছাড়াও দেড়যুগের সলিং রোডে ইট ভেঙে হয়েছে বড় বড় গর্ত, যাতে রিক্সা, বাইসাইকেল, মোটরসাইকেলসহ কোন যানবাহন চলাচল করতে পারছেনা। অভিভাবকরা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্কুল পড়ুয়া কোমলমতি শিশুদের নিয়ে, বিভিন্ন সময় দেখা যায় ভাঙা ইটের সাথে ধাক্কা খেয়ে দূর্ঘটনার শিকার হতে হয় শিশু সহ বয়স্করা।

জানা যায়, তৎকালীন কাদির পুন্ডিতের হাট (বর্তমান নদী গর্ভে বিলীন) যাওয়ার জন্য ব্যবহার করা হতো এই এই রাস্তাটি যা গুগুল ম্যাপ কালের স্বাক্ষী, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি বেহাল দশায় থাকায় দূরবর্তী রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে ঐসব অঞ্চলের মানুষদের।

গত ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে আমানীয়া রোডের নামে কর্মসূচি কাজের বরাদ্ধ থাকলেও মাটি নজরে পড়েনি এই রোডে, বর্তমান সময়ে হতদরিদ্রদের জন্য ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ হলেও এখনো এই রাস্তার নামে কোন প্রকল্প নেই।
দীর্ঘ সময়েও একমুঠো মাটি জুটেনি, এ রাস্তায়। শুধু তা-ই নয় এভাবে প্রতিবছর কাগজ পত্রে বরাদ্ধ বাস্তবায়ন হলেও এটিই হচ্ছে হাজিরহাট ইউনিয়নের বাস্তব চিত্র।

স্থানীয় বাসিন্দা ও জেএসডি সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন নিরব জানান, ইটের সলিং ভেঙে হয়েছে বড় বড় গর্ত যা চলাচলের অনুপযোগী গাড়িতো আসছেই না পায়ে হাটাও কষ্টকর। রাস্তাাটি দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় দিন রাত কষ্ট পোহাতে হচ্ছে, যেটুকু মাটির রাস্তা ছিলো তাও ক্ষেতের সাথে মিশে গেছে। কাদের স্বার্থে রাস্তার নাম নিয়ে এত লুকোচুরি। আমরা চাই যেই নামে হউক এ রাস্তার কাজ যেন দ্রুত হয়

রাস্তার বিষয়ে চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, বর্তমানে আমার কোন প্রতিক্রিয়া নেই। ক্ষেতের সাথে রাস্তাাটি মিশে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন এতো ছোট প্রকল্প হয় না তার জন্য এটাকে কোন প্রকল্পের আওতায় আনা যায়নি।

উপজেলা প্রকৌশলী মো. সোহেল আনোয়ার বলেন, জেএনপি-৪ ডিপিপিতে অন্তভূর্ক্ত করার জন্য কমলনগর উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর থেকে প্রেরন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত