বিএনপির নিবন্ধন বাতিলের সুযোগ আছে কিনা, যা বলল ইসি

| আপডেট :  ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৯:৩৩  | প্রকাশিত :  ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৯:০৯

 



 

যুক্তরাষ্ট্রে বিএনপি ও জামায়াতের লবিস্ট নিয়োগ নিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া চিঠির প্রসঙ্গে আলোচনা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কমিশন বলেছে, লবিস্টের পেছনে বিএনপির অর্থ ব্যয়ের তদন্ত করার আইনি কাঠামো ও সক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের নেই।

বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন সভা শেষে ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার এ তথ্য জানান।

এর আগে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে কমিশনের ৯৩তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম ও কবিতা খানম উপস্থিত ছিলেন। সদ্য করোনামুক্ত হওয়া নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার কমিশনে সচিবালয়ে আসলেও বৈঠকে অংশ নেননি। তিনি বৈঠক শুরুর আধা ঘণ্টা আগে বেরিয়ে যান। নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) শাহাদাত হোসেন চৌধুরীর স্ত্রী অসুস্থ থাকায় তিনিও এ সভায় অংশ নেননি।

লবিস্ট নিয়োগ প্রমাণিত হলে বিএনপির নিবন্ধন বাতিলের সুযোগ আছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, এই রকম বিষয় যদি প্রমাণিত হয় এবং কমিশনকে যদি জানানো হয়- তাহলে কমিশন বসে সিদ্ধান্ত নেবে।

আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে লবিস্ট নিয়োগের অভিযোগ রয়েছে- এ বিষয়ে ইসির অবস্থান জানতে চাইলে সচিব বলেন, আমাদের কাছে এই ধরনের কোনো অভিযোগ আসেনি। আজকের বৈঠকে যে আলোচ্য বিষয় সেখানে এই ধরনের কিছু আসেনি।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনে ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল আছে। যেসব রাজনৈতিক দল পর পর তিন বছর অডিট রিপোর্ট জমা না দেয়, তাহলে কমিশন শুনানি দিয়ে সর্বোচ্চ নিবন্ধন বাতিল করতে পারে।

এক প্রশ্নের জবাবে মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেন, ২০১৪ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বিএনপি যেসব অডিট রিপোর্ট জমা দিয়েছে- তা পর্যালোচনা করা হয়েছে। কোনো অর্থবছরের রিপোর্টেই লবিস্টের পেছনে অর্থ ব্যয়ের তথ্য পাওয়া যায়নি।

এদিকে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এক পৃষ্ঠার ডিও লেটার ও ১০৩ পৃষ্ঠার সংযুক্তি উপস্থাপন করা হয়। কমিশন সভার কার্যপত্রে বলা হয়েছে, কোনো অডিট রিপোর্টে বিএনপি লবিস্টের পেছনে অর্থ ব্যয়ের তথ্য নেই। তবে রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা, ২০০৮ এর ৯ বিধি উল্লেখ করে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন যে কোনো যে কোনো তথ্য বা কাগজপত্র নিবন্ধিত দলগুলোর কাছে চাইতে পারে এবং ওইসব তথ্য দিতে রাজনৈতিক দলগুলো বাধ্য। তবে বৈঠকে বিএনপির কাছে এ বিষয়ে তথ্য চাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়নি।

উল্লেখ্য, গত ১৯ জানুয়ারি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম নির্বাচন কমিশন ও বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি দেওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান। শাহরিয়ার আলম বলেন, বিএনপি বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে লবিস্ট নিয়োগে যে চুক্তি করেছে, সেসব চুক্তির কপি নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়েছে। কেননা প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে আয়-ব্যয়ের হিসাব নির্বাচন কমিশনে দাখিল করতে হয়। বিএনপি নির্বাচন কমিশনে এ অর্থের হিসাব দাখিল করেছে কিনা কমিশনকে খতিয়ে দেখতে অনুরোধ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছেও চিঠি পাঠানো হয়েছে। বিএনপি চুক্তির জন্য বিদেশে যে অর্থ পাঠিয়েছে, সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো অনুমোদন রয়েছে কিনা যাচাই করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত