রডের দাম বাড়ল
বাজারে প্রতি টন রডের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। এরপরও লোকসানে রড বিক্রি করতে হচ্ছে বলে দাবি করছেন উৎপাদকরা। কারণ স্ক্র্যাপ কিনতে ৭৯ শতাংশ বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে রড উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর।
বুধবার (০২ ফেব্রুয়ারি) এফবিসিসিআই কার্যালয়ে বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসএমএ) ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনস্ট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রি (বিএসিআই)বৈঠকে বসে। সভায় সিদ্ধান্ত হয় নির্মাণ খাতে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে তিন মাস পর পর বৈঠকে বসবে অবকাঠামো নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ও কাঁচামাল উৎপাদকরা।
রডের সামগ্রিক উৎপাদনে ৫২ শতাংশ খরচ বাড়ায় বিক্রয়মূল্য বেড়েছে ৩৭ শতাংশ। তাই বিশ্ববাজারে কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির তুলনায় বিক্রয়মূল্য না বাড়ায় লোকসান দিয়ে রড বিক্রি করতে হচ্ছে বলে দাবি করেন তারা।
এ খাতের উদ্যোক্তারা জানান, গত দুই বছরে স্টিল তৈরির প্রধান কাঁচামাল স্ক্র্যাপ ও রাসায়নিক ও কনটেইনারের ভাড়া বেড়েছে। এর প্রভাবে রডের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। বিশ্ববাজারে কাঁচামালের দাম বাড়ায় দেশে উৎপাদিত রডের দাম যৌক্তিকভাবে বেড়েছে।
সভায় জানানো হয়, দেশে এখন প্রতি টন রড বিক্রি হচ্ছে ৭৮ হাজার টাকায়। অন্যদিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে প্রতি টন রডের বিক্রয় মূল্য বাংলাদেশি টাকায় ৮৬ হাজার টাকা।
সভায় স্টিল উৎপাদকরা বলেন, নির্মাণ প্রতিষ্ঠানগুলো রড আমদানি করার অনুমতি পেলে, দেশীয় শিল্প ক্ষতির মুখে পড়বে এবং বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান হারানোর শঙ্কা তৈরি হবে। এ অবস্থায় দেশীয় উৎপাদকদের জন্য স্ক্র্যাপ ও স্পঞ্জ আয়রন আমদানিতে বিদ্যমান সকল শুল্ক-কর হ্রাস করার দাবি জানায় বিএসএমএ।
সভায় বিএসিআইর পক্ষ থেকে বলা হয়, সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত বিধিমালা-পিপিআর ও সিপিটিইউ থেকে জারি করা পরিপত্রে সরকারি প্রকল্পগুলোতে মূল্য সমন্বয়ের কথা রয়েছে। কিন্তু সরকারি অর্থায়নে বাস্তবায়িত বেশিরভাগ প্রকল্পের চুক্তিতে মূল্য সমন্বয়ের ক্লজ রাখা হয়নি। যে কারণে, নির্মাণ সামগ্রীর দাম বাড়ায়, ঠিকাদাররা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনা করে সরকারি প্রকল্পের চুক্তি মূল্য বাড়ানোর আহ্বান জানায় বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনস্ট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রিজ।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। পারস্পরিক সহযোগিতা ও আলোচনার মাধ্যমে নির্মাণ খাতের সমস্যা নিরসনের তিনি তাগিদ দেন।
সভায় অনলাইনে যুক্ত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন। অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, পরিচালক প্রকৌশলী গোলাম মোহাম্মেদ আলমগীর, মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক, বিএসএমএর সভাপতি মানোয়ার হোসেন ও বিএসিআইয়ের সভাপতি শফিকুল হক তালুকদার।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত