রকেট তৈরির দাবি একদল যুবকের, উড্ডয়নে প্রয়োজন সরকারি সহায়তা
![](https://muktokantho.com/wp-content/uploads/2022/02/inbound758695484718345361.jpg)
ময়মনসিংহ প্রতিনিধ: ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের এক শিক্ষার্থী রকেট তৈরীর দাবি করে আলোচনায় এসেছেন।
রকেটের বেশ কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) ভাইরাল হলে বিষয়টি আলোচনায় আসে। তার দাবি, সরকারি সহায়তা পেলে অধিকতর গবেষণা করবেন। তবে, রকেট তৈরীর বিষয়টি ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুক) ও মিডিয়ায় ব্যাপক হইচই সৃষ্টি করেছে।
ওই শিক্ষার্থীর নাম মো. নাহিয়ান আল রহমান ওরফে ওলি। সে ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের ইলেক্টিক্যাল এন্ড ইলেক্টনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের (ইইই) শিক্ষার্থী। বাড়ী গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা। তার নেতৃত্বে ২০ জনের একটি দল রকেট তৈরীর কাজ শুরু করেন।
ওলির নেতৃত্বে ২০১৯ সালে আলফা সায়েন্স ল্যাবে রকেট তৈরীর প্রজেক্ট শুরু করেন। তিন বছর পরিশ্রম ও গবেষণা করে ৬ ফুট ও ১০ ফুট উচ্চতার দুটি প্রোটো টাইপ ৪টি রকেট তৈরী করেন। এর মধ্যে একটির নাম ধূমকেতু-ওয়ান। তবে, ৬ ফুট উচ্চতার ধুমকেতু ওয়ান রকেট প্রজেক্টটি এখন চূড়ান্ত ধাপে রয়েছে। রকেটটি ২০ কিলোমিটার উপরে উঠবে, সাথে সাথে নেমেও আসবে। তবে, বাস্তবে তা উড়বে কিনা বিষয়টি এখনও পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি।
নাহিয়ান আল রহমান ওরফে ওলি জানান, আমরা ৬ ফুট ও ১০ ফুট উচ্চতার দুটি প্রোটো টাইপ ৪টি রকেট তৈরী করেছি। ধূমকেতু-ওয়ানের ফোর্স প্রায় দেড়শত নিউটন। অপরটির নাম ধূমকেতু-টু। এর ফোর্স চারশ নিউটন। এটির রেঞ্জ প্রায় ৫০ কিলোমিটার এবং ধূমকেতু-ওয়ানের রেঞ্জ প্রায় ২০ কিলোমিটার।
ওলি আরও জানান, সরকারের সহায়তা ও অনুমোদন পেলেই এই রকেট উৎক্ষেপন করতে পারব। আর এসব রকেট উৎক্ষেপনের পর আমরা যে তথ্যগুলো পাব। তা দিয়ে তাপমাত্রার রিপোর্ট তৈরী করা সম্ভব। এজন্য সরকারের সহযোগীতা প্রয়োজন।
কলেজ সূত্র জানায়, আলফা সায়েন্স ল্যাবের এই শিক্ষার্থীদের এই টিম একাধিক রোবোটিক্স প্রজেক্টে সফল হয়েছে। তারা ২০১৯ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত টেকফেস্ট নির্বাচনী পর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়। পরে তারা ভারতের বিখ্যাত আইআইটি’তে অনুষ্ঠিত টেকফেস্টে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করে। সেখানেও তারা শীর্ষ-৫ এ জায়গা করে সেমিফাইনালিস্ট হবার গৌরব অর্জন করে।
এ বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ইলেক্টিক্যাল এন্ড ইলেক্টনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক মো. আ.ওয়াহিদ জানান, র্দীঘ প্রচেষ্টায় এই রকেট আবিস্কার করেছে শিক্ষার্থীরা। কিন্তু এই রকেট আকাশে উৎক্ষেপন করতে হলে প্রয়োজন সরকারী বরাদ্ধ ও অনুমতি। এই জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাই মূখ্য। তবে আমরা আশা করছি দেশের স্বার্থে সরকার এই স্বপ্নবাজ তরুনদের পাশে দাঁড়াবে।
ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষ মো. আলমগীর কবীর বলেন, রকেট আবিস্কারের বিষয়টি দেশের জন্য আশার খবর। তবে, এটি সফল উৎক্ষেপনের জন্য সরকারের অনুমতি প্রয়োজন। খুব দ্রুত এ সংক্রান্ত চিঠি সংশ্লিষ্ট দফতরে প্রেরণ করা হবে। আশা করছি এর মধ্য দিয়ে দেশে আবিস্কারের নতুন অধ্যায় সূচিত হবে।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত