রাতে অ্যাফকনের ফাইনালে মুখোমুখি সালাহ-মানে

| আপডেট :  ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৮:২৩  | প্রকাশিত :  ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৮:২২

আজ রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে আফ্রিকা কাপ অব নেশন্সের ফাইনালে মুখোমুখি হবে মিশর ও সেনেগাল। ক্যামেরুনে রাত একটায় শুরু হবে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ। তবে ম্যাচকে ছাপিয়ে আলোচনায় দুই সতীর্থ মোহাম্মদ সালাহ ও সাদিও মানে। লিভারপুল তারকা এবার প্রতিদ্বন্দ্বীর ভূমিকায়।

 

 

 

 

 



 

 

 

 

লিভারপুল সমর্থক হলে আপনার চেয়ে বিপদে আর কে? কাকে সমর্থন করবেন? সাদিও মানে না মোহাম্মদ সালাহকে। দুজনই অলরেড ফুটবলার। কিন্তু একদিনের জন্য শত্রুতে পরিণত। আজ রাতে সেনেগাল-মিশর আফ্রিকা কাপ অব নেশন্সের ফাইনাল। দু’তারকা খেলবেন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর ভূমিকায়।

দু’জনের মধ্যে আরও কত যে মিল। ফুটবল মাঠে অ্যাটাকিং পজিশনটা যেমন এক বয়সও ২৯ সমান। এই টুর্নামেন্টে সাদিও মানে ৩ গোল করে এগিয়ে আছে ভাবছেন? মোহাম্মদ সালাহর দুই গোলের সঙ্গে আছে সেমিফাইনালে স্বাগতিক ক্যামেরুনকে বিদায় করা টাইব্রেক করা গোল।

মানে সমান দু’শিষ্যের এ মুখোমুখি দেখায় সবচেয়ে বিপদে তাদের ক্লাব কোচ ইয়্যুর্গেন ক্লপ। সতর্ক অবস্থান তার। ক্লপ বলেন, দু’জনের একজন হাসিমুখে বাড়ি ফিরবে, আরেকজন তা পারবে না। তবে দু’জনেরই সুযোগ আছে সে হাসিমুখের অধিকারী হতে। দারুণ অর্জন তাদের ফাইনালে উঠা।

ফাইনালে মুখোমুখির আগে সেনেগাল কোচ আলিউ সিসে মিসরকেই বেশি প্রাধান্য দিলেন। বললেন, আমরা মিশরীয় দলটা সম্পর্কে জানি। দলটার চারিত্রিক দৃঢ়তা বেশ। এরা এমন একটা দল, যারা নিজেদের দর্শন, খেলার ধরণ মেনে খেলে। আমি যেমন বলি, তারাই বর্তমানে আফ্রিকান মহাদেশের সবচেয়ে বেশি আফ্রিকান আরব দল। কারণ তাদের দলে জামালেক (মিশরীয় প্রিমিয়ার লিগের দলে) খেলা খেলোয়াড়ের সংখ্যা বেশ। আফ্রিকান বাস্তবতার কথা ধরলে তাদের বেশ অভিজ্ঞতা আছে।

তবে সেনেগাল অধিনায়ক কালিদু কুলিবালি বলেই বসলেন, সালাহকে বলই ছুঁতে দেবে না তার দল। তিনি বলেন, আমি একে সালাহ-প্রতিরোধী পরিকল্পনা থেকেও বেশি কিছু হিসেবে দেখছি। সে তার দলে একটা প্রভাব বিস্তার করে। সেটাই কমাতে হবে আমাদের। তাকে বলই ছুঁতে দেয়া চলবে না, যতটা সম্ভব কমাতে হবে বিষয়টা। আমরা জানি সে এমন একজন খেলোয়াড়, যে কোনো মুহূর্তেই ব্যবধান গড়ে দিতে পারে। আর তাই একজন ডিফেন্ডার হিসেবে আমি বলব, পুরো ম্যাচেই আমাদের মনোযোগ ধরে রাখতে হবে। তার ওপর মনোযোগ ধরে রাখতে হবে, বাকিদেরও ভুলে যাওয়া চলবে না। কারণ আমরা যদি পুরো মনোযোগটা সালাহতেই ধরে রাখি, তাহলে সেখানে অন্য অনেক খেলোয়াড় আছে, যারা দৃশ্যপটে চলে আসতে পারে। আর তাই সালাহ আর মিসরের বিপক্ষে খেলতে দলগত চেষ্টা নিয়েই খেলতে হবে আমাদের।

পরিসংখ্যানের এক জায়গায় মিশর বেশ এগিয়ে। আগের শিরোপা সংখ্যায় সাতবারের চ্যাম্পিয়ন মিশর আর একবারও আফ্রিকা সেরা হওয়া হয়নি সেনেগালের। তবে এবার ফেভারিটের তকমা লায়ন্স অব তেরাঙ্গাদেরই।

মিশর কোচ কার্লোস কুইরোস ফাইনালে থাকতে পারছেন না ডাগআউটে। সেমিতে দেখেছেন লাল কার্ড। প্রথম সেমিফাইনাল খেলায় সেনেগাল একদিন বেশি সময় পেয়েছে বিশ্রাম আর অনুশীলনের জন্য। তাই ফাইনাল পিছিয়ে দেয়ার অনুরোধ করেছেন মিশরের সহকারি কোচ। তা কি আর হয়। এই ফাইনাল আফ্রিকার সেরা দল কে তার যেমন নির্ধারক তেমনি মহাদেশের সেরা ফুটবলার কে তারও একটা পরীক্ষার মঞ্চ। এখানেই শেষ নয়। মার্চে আবারও দেখা হবে দুই বন্ধুর শত্রুরূপে বিশ্বকাপ বাছাই ম্যাচে।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত