বেসরকারি পর্যায়ে করোনা পরীক্ষার মূল্য হ্রাসের পরামর্শ

| আপডেট :  ২৯ এপ্রিল ২০২১, ১২:১০  | প্রকাশিত :  ২৯ এপ্রিল ২০২১, ১২:১০

করোনাভাইরাসের পরীক্ষা বাড়ানোর লক্ষ্যে বেসরকারি পর্যায়ে পরীক্ষার মূল্য কমানোর পরামর্শ দিয়েছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। বুধবার (২৮ এপ্রিল) দিবাগত রাতে জাতীয় কারিগরি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরীক্ষার সংখ্যা বাড়াতে সরকার প্রয়োজনীয় কিটের দাম প্রায় ৩০০০/২৭০০ টাকা থেকে ৮০০/১০০০ টাকা পর্যন্ত কমিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বেসরকারি পর্যায়ে টেস্টের সংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করে মূল্য পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। একইসঙ্গে বেসরকারি পর্যায়ে আরটি পিসিআর টেস্টের মূল্য ১৫০০-২০০০ টাকার মধ্যে নির্ধারণের পরামর্শ দেওয়া হয়।

এতে বলা হয়, ভারতে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার উদ্বেগজনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনার ‘ডাবল মিউট্যান্ট ভ্যারিয়েন্ট’ (নতুন প্রজাতি) চিহ্নিত হয়েছে। এই প্রজাতি আমাদের দেশে প্রবেশ করলে পরিস্থিতি সংকটময় হতে পারে বলে জাতীয় কারিগরি কমিটি আশংকা করে। ভারত থেকে আসা যাত্রীদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে ১৪ দিন থাকা নিশ্চিত করতে হবে। সীমান্ত দিয়ে জনগণের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণে নজরদারি জোরদার করতে হবে। এ ব্যাপারে কোন ধরনের শিথিলতা কাম্য নয়।

প্রসঙ্গত, দেশে শুরুতে বিনামূল্যে সরকারি ল্যাবে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা হতো। পরবর্তীতে গত বছরের জুনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক নির্দেশনায় বুথ থেকে সংগৃহীত ও হাসপাতালে ভর্তি রোগীর নমুনা পরীক্ষার ফি ২০০ টাকা এবং বাসা থেকে সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষার ফি ৫০০ টাকা করা হয়। পরে এই ফি আবার কমানো হয়। বর্তমানে সরকারিভাবে বিভিন্ন পর্যায়ে ১০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকার বিনিময়ে কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়ার জন্য নমুনা পরীক্ষা করা হয়ে থাকে।

এদিকে, গত বছরের ২৯ এপ্রিল বেসরকারিভাবে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার অনুমতি দেওয়া হয় তিন হাসপাতালে। তখন কিটের দাম অনেক বেশি থাকায় বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ভর্তি রোগীর নমুনা পরীক্ষার খরচ নির্ধারণ করে দেওয়া হয় সাড়ে তিন হাজার টাকা। পরবর্তীতে ২১ মে অনুমোদিত কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণের পরীক্ষা করার অনুমতি দেয় সরকার। এসব হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারেও নমুনা পরীক্ষার খরচ নির্ধারণ করে দেওয়া হয় সাড়ে তিন হাজার টাকা। তবে বাসায় গিয়ে নমুনা সংগ্রহের ক্ষেত্রে বাড়তি এক হাজার টাকা, অর্থাৎ মোট সাড়ে চার হাজার টাকা খরচ ধরা হয়। বর্তমানে দেশের ৭০টি বেসরকারি ল্যাবে এই খরচেই করোনা নমুনা পরীক্ষা করানো হচ্ছে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত