প্রথমবারের মতো ক্ষেপণাস্ত্র ‘আইয়াশ’ এর আঘাত, ইসরায়েলে আতঙ্ক

| আপডেট :  ১৪ মে ২০২১, ০৭:১৯  | প্রকাশিত :  ১৪ মে ২০২১, ০৭:১৯

ইসরায়েলের দীর্ঘ দিনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চলতি সপ্তাহেই অসংখ্য রকেট হামলা চালিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। এতে সেনাসদস্যসহ সাতজন ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। তবে প্রথমবারের মতো ইসরায়েলের একটি বিমানবন্দরে মধ্য পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে হামাস। যা ইসরায়েলের একটি বিমানবন্দরে আঘাত হেনেছে। এরপরই ইসরায়েলে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

ইসরায়েলের অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোমকে ফাঁক গলে মধ্যমপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র আইয়াশ-২৫০ আঘাত হেনেছে ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে। বিশেষ করে ইসরায়েলের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর তেল আবিবে একের পর এক রকেট আঘাত হেনেছে। যার জেরে গোটা শহরেই বাজানো হয় সতর্কতা সাইরেন।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হামাসের আইয়াশ-২৫০ আঘাত হেনেছে দখলদার ইসরায়েলের রামুন বিমানবন্দরে।

হামাসের সামরিক শাখা ইয্যাদ্দিন কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবায়দা বলেছেন, বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে রামুন বিমানবন্দরে মধ্য পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ‌‘আইয়াশ’ এর মাধ্যমে রকেট হামলা চালানো হয়েছে। গাজা থেকে এই বিমানবন্দরের দূরত্ব মাত্র ২২০ কিলোমিটার। ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা আইরন ডোম এটিকে আটকাতে ব্যর্থ হয়েছে।

আবু ওবায়দা ইসরায়েলকে হুঁশিয়ার করে বলেন, আইয়াশ-২৫০ ইসরায়েলের যে কোনো স্থানে আঘাত হানতে সক্ষম। ক্ষেপণাস্ত্রটি হামাসের প্রয়াত নেতা ইয়াহিয়া আইয়াশের নামে নামকরণ করা হয়েছে। হামাসের এই নেতা ১৯৯৬ সালের ৫ জানুয়ারি শিনবেত এলাকায় দখলদার ইসরায়েলের হামলায় নিহত হন। ‘আইয়াশ’ নামের এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ২৫০ কিলোমিটার দূরবর্তী যেকোনো লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে সক্ষম।

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী আন্দোলন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর উপ-প্রধান সালেহ আল আরোয়ি আল-আকসা টিভি চ্যানেলকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে ইসরায়েলকে হুঁশিয়ার করে বলেন, আমরা ইসরায়েলে এ পর্যন্ত যেসব ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছি তার সবগুলোই পুরনো। আমাদের মূল অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র এখনও ব্যবহার করিনি।

এর আগে তেল আবিবের কাছাকাছি অবস্থিত ইসরায়েলের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বেন গুরিওনে হামাসের রকেট হামলার জেরে সেটি বন্ধ করা হয়েছিল। এরপর মূলত রামুন বিমানবন্দর দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করা হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার সেখানেও আঘাত হানলো হামাস। বর্তমানে সেটিও বন্ধ।

এদিকে ফিলিস্তিনের গাজা সীমান্তে ট্যাংক ও সেনা মোতায়েন করেছে ইহুদিবাদী ইসরাইল। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গানৎজ সীমান্তে নিরাপত্তা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন।

বিবিসি জানিয়েছে, গাজা সীমান্তে দুটি পদাতিক ও একটি সাঁজোয়া ইউনিট মোতায়েন করেছে ইসরাইল। এ ছাড়া সীমান্তে অতিরিক্ত ৭ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে দেশটি। তবে ফিলিস্তিনে হামলা চালানো হবে কি না, সেই বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত জানা যায়নি।

 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত