27 C
Dhaka
রবিবার, জুন ১১, ২০২৩

‘মামুনুল হকের ব্যাংক একাউন্টে বছরে ৬ কোটি টাকা লেনদেন’

হেফাজতে ইসলামের সদ্যবিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এক বছরে প্রায় ৬ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পেয়েছে ঢাকা মেট্টোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। রবিবার (৩০ মে) বিকেল সাড়ে ৫টায় ডিবি কার্যালয়ে এসব কথা বলেন ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) মাহবুব আলম।

এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, স¤প্রতি হেফাজতের বেশ কয়েকজন নেতাকে আমরা গ্রেফতার করেছি। এর মধ্য দিয়ে অনেক মামলার তদন্তে অগ্রগতি হয়েছে। হেফাজতের অর্থনৈতিক বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ ও নথিপত্র যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। মামুনুল হকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বছরে প্রায় ৬ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়াও অতি স¤প্রতি গ্রেফতার করা হয়েছে হেফাজতের সাবেক কমিটির অর্থ সম্পাদক কাসেমীকেও। তার অ্যাকাউন্টও বেশ কিছু লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। সেগুলোরও তদন্ত চলছে।

এই অর্থায়নগুলো হয় বিশেষ করে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাধ্যমে। প্রবাসীরা মাদ্রাসা বা মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন কাজে হেফাজতের কাছে দান করে থাকে। এর মধ্যে রোহিঙ্গাদের জন্যও তারা দান করে থাকে। এছাড়াও হেফাজতের জন্যও কিছু কিছু টাকা বিদেশ থেকে আসে। এই টাকাগুলো আসার পর সেগুলো হেফাজত ইসলামের নেতারা সঠিকভাবে মেইনটেইন করতেন না। তাদের নিজের ইচ্ছামতো টাকাগুলো নেয়ার পর খরচ করতেন। তারা এই টাকাগুলো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করেছে। বিশেষ করে হেফাজতের নিজেদের কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করেছে। রোহিঙ্গাদের টাকাও হেফাজত নিজেদের কাজে ব্যবহার করত। এছাড়াও বিপুল পরিমাণ টাকা তারা তসরুপ করেছে। টাকাগুলো দিয়ে হেফাজত নেতারা নিজেদের বাড়ি-গাড়ি করেছে।

তদন্তে দেখা গেছে, মাদ্রাসার সংগঠন বেফাক কিংবা হায়াতুল উলয়া এসব সংগঠন অনেক গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন কিন্তু তারাও হেফাজতের কাছে জিম্মি হয়ে যাচ্ছে। ফলে এসব সংগঠনগুলো তাদের সঠিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না। এ ধরনের অর্থ যাদের হাতে চলে যাচ্ছে কিংবা অর্থের নিয়ন্ত্রক যারা তারাই রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে। আবার ক্ষেত্র বিশেষে তারাই এই টাকাগুলোর মালিক হচ্ছে। অনেক ভালো আলেম-ওলামা আছেন, তারা এই সিন্ডিকেটের কাছে অসহায় হয়ে যাচ্ছেন। কারণ যার কাছে অর্থ আছে, টাকার বিনিময়ে ক্ষমতা তারাই নিয়ন্ত্রণ করতে চান। এসব বিষয়ে আলাদা মামলা হতে পারে বলেও জানান তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে মাহবুব আলম বলেন, ২০১৩ সালের ১৪টি মামলা আমরা তদন্ত করছি। এছাড়াও নতুন বেশ কয়েকটি মামলা আমরা পেয়েছি। এছাড়াও অন্যান্য গোয়েন্দা বাহিনীও এসব বিষয় নিয়ে কাজ করছে। খুব দ্রুতই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা হবে বলে জানান তিনি।

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Stay Connected

0FansLike
3,803FollowersFollow
0SubscribersSubscribe
- Advertisement -

Latest Articles