ইসি গঠনে সার্চ কমিটির ১০ জনের নামের বিষয়ে যা বললেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে (ইসি) শেষ বৈঠক করে ফেলেছে সার্চ কমিটি। ইতোমধ্যে তারা ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করেছে। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে তা জমা দেবেন সার্চ কমিটির সদস্যরা।
মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে সার্চ কমিটির সপ্তম বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘ইসি গঠন নিয়ে সর্বশেষ বৈঠক করে ফেললো সার্চ কমিটি। তারা ১০ জনের নাম ফাইনাল করেছে। এটি আমার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। তবে এখন তালিকাটি সার্চ কমিটির প্রধান আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের হেফাজতে রয়েছে।’
তিনি বলেন, সার্চ কমিটির মিটিং শেষ। ওনাদের সিলেকশন শেষ। সবকিছু তারা ফাইনাল করে ফেলেছে। ১৭ দিনের মাথায় তা চূড়ান্ত করল এই কমিটি। এখন মহামান্য রাষ্ট্রপতি এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
আজ বিকেল ৪টা ৩৫ মিনিটে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে বৈঠকে বসে সার্চ কমিটি। এটিই তাদের শেষ বৈঠক। সভার শুরুর দিকেই ১০ জনের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়। এতে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং সাবেক আইজিপির নাম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে থাকছেন না উচ্চ আদালতের কোনও বিচারপতি।
এই তালিকা রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে সুপারিশ করবে সার্চ কমিটি। এই ১০ জনের মধ্য থেকে একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি।
বিকেল সোয়া ৫টায় ১৫ মিনিটের দিকে বৈঠকে বিরতি দিয়ে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন সার্চ কমিটির সদস্যরা। এসময় সবাইকে সুপ্রিম কোর্টের প্রকাশনা সামগ্রী দেন প্রধান বিচারপতি। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আবারও বৈঠকে বসে সার্চ কমিটি। এতে কমিটির প্রধান ও আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান সভাপতিত্ব করেন।
এর আগে গত রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) সার্চ কমিটির ষষ্ঠ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তাতে ১২ থেকে ১৩ জনের নাম বাছাই করা হয়।
সর্বশেষ ইসির মেয়াদ ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়েছে। স্বাধীনতার পর এবারই আইন অনুযায়ী প্রথম ইসি গঠিত হচ্ছে। এজন্য গত ২৭ জানুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২ জাতীয় সংসদে পাস হয়।
এরপর আইনানুযায়ী ইসি গঠনে যোগ্য ব্যক্তি বাছাইয়ের জন্য ৫ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে সভাপতি করে ছয় সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটিকে নাম সুপারিশের জন্য সময় দেওয়া হয় ১৫ কার্যদিবস।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত