যে কারণে সরকারি চাকরিতে প্রবেশে বয়সসীমা বাড়ছে না

| আপডেট :  ০৬ এপ্রিল ২০২২, ০১:৪০  | প্রকাশিত :  ০৬ এপ্রিল ২০২২, ০১:৪০

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বৃদ্ধির কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই জানিয়ে তার কারণ সংসদকে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো হলে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রতিযোগিতা বেড়ে যাবে। এতে ত্রিশের কম বয়সী চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে ‘হতাশা সৃষ্টি হবে।

আজ মঙ্গলবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান।

আওয়ামী লীগের হাবিবে মিল্লাতের প্রশ্নের লিখিত জবাবে প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, অতীতে বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বড় ধরনের সেশনজট থাকলেও বর্তমানে উল্লেখযোগ্য সেশনজট নেই বললেই চলে।

ফলে শিক্ষার্থীরা সাধারণত ১৬ বছর বয়সে এসএসসি, ১৮ বছরে এইচএসসি এবং ২৩ থেকে ২৪ বছরে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করে থাকে। সাধারণ প্রার্থীদের জন্য চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর হওয়ায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পরও তারা চাকরিতে আবেদনের জন্য কমপক্ষে ছয় থেকে সাত বছর সময় পেয়ে থাকে।

এ ছাড়া ৩০ বছর বয়সসীমার মধ্যে একজন প্রার্থী চাকরির জন্য আবেদন করলে নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে এক থেকে দুই বছর সময় লাগলেও তা গণনা করা হয় না।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৫৭ থেকে ৫৯ বছরে উন্নীত হওয়ার পর শূন্য পদের সংখ্যা স্বাভাবিকভাবেই কমেছে। এই প্রেক্ষাপটে চাকরিতে প্রবেশের বয়সমীসা বাড়ানো হলে বিভিন্ন পদের বিপরীতে চাকরিপ্রার্থীদের সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে। এতে নিয়োগের ক্ষেত্রে আরো প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হতে পারে। ফলে যাদের বয়স বর্তমানে ৩০ বছরের ঊর্ধ্বে তারা চাকরিতে আবেদন করার সুযোগ পেলেও অনূর্ধ্ব ৩০ বছরের প্রার্থীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হতে পারে। এ প্রেক্ষাপটে চাকরিতে প্রবেশের বয়সমীমা বৃদ্ধির কোনো পরিকল্পনা ‘আপাতত সরকারের নেই’।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত