তামিমের নতুন সঙ্গীও ব্যর্থ!
বছরের পর বছর ধরে ওপেনিং জুটির একপ্রান্ত সামলে রেখেছেন তামিম ইকবাল। হয়ে উঠেছেন দেশসেরা ওপেনার। অথচ তার যোগ্য সঙ্গী এ যাবতকালেও খুঁজে পাওয়া গেল না। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে ব্যর্থ লিটন দাসকে বাদ দিয়ে আজ একাদশে নেওয়া হয় মোহম্মদ নাঈমকে। কিন্তু তিনিও ব্যর্থ। বড় টার্গেট তাড়ায় নেমে চামিরার করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে কুশল মেন্ডিসের হাতে তালুবন্দি হন মাত্র ১ রান করে। ফিরতি ওভারে এসে সাকিব আল হাসানকে (৪) তুলে নেন চামিরা। ৯ রানে দুই উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ এখন বিপদে।
এর আগে মিরপুর শেরে বাংলায় ৬ উইকেটে ২৮৬ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮২ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপ উপহার দেন দানুশকা গুনাথিলকা আর অধিনায়ক কুশল পেরেরা। ৩৩ বলে ৩৯ করা গুনাথিলকাকে বোল্ড করে জুটি ভাঙেন তাসকিন। ৩ বল পরেই তিনি তুলে নেন পাথুম নিশাঙ্কাকে (০)। উইকেটে আসেন কুশল মেন্ডিস। দুই কুশল মিলে উপহার দেন ৬৯ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি।
এই দুজনের জুটি যখন বাংলাদেশের ওপর চাপ সৃষ্টি করছিল, তখন ফের মঞ্চে আবির্ভাব তাসকিন আহমেদের। তার বলে তামিম ইকবালের তালুবন্দি হয়ে যান কুশল মেন্ডিস (২২)। নতুন আসা ধনাঞ্জয়া ডিসিভলাকেও ১ রানে তাসকিন এলবিডাব্লিউ করেছিলেন। তবে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান ধনাঞ্জয়া। এরপর মুস্তাফিজের বলে সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে থাকা কুশল পেরেরা ক্যাচ ছাড়েন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। পরের বলেই ১ রান নিয়ে ক্যারিয়ারের ৬ নম্বর সেঞ্চুরি তুলে নেন পেরেরা। এজন্য তিনি সময় নিয়েছেন ৯৯ বল, হাঁকিয়েছেন ১০টি চার এবং ১টি ছক্কা।
দ্রুতই এই জুটি পঞ্চাশ ছাড়িয়ে যায়। অবশেষে কুশল পেরেরাকে ফিরিয়ে ৬৫ রানের জুটি ভাঙেন শরিফুল। তার বলে সেই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের তালুবন্দি হন কুশল। যে মাহমুদউল্লাহর কল্যাণে তিনি ৯৯ রানে জীবন পেয়েছিলেন! আউট হওয়ার আগে কুশলের সংগ্রহ ১২২ বলে ১১ চার ১ ছক্কায় ১২০ রান। একাদশে সুযোগ পাওয়া নিরোশান ডিকাভিলা মাত্র ৭ রান করে রান-আউট হয়ে যান। এর কৃতিত্বও শরীফুলের। লঙ্কানদের ৬ষ্ঠ উইকেটের পতন ঘটান তাসকিন। হাসরাঙা ডি সিলভাকে (১৮) মেহেদি মিরাজের তালুবন্দি করে তিনি নিজের চতুর্থ শিকার ধরেন। ধনাঞ্জয়ার অপরাজিত ৫৫* রানে লঙ্কানদের স্কোর দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ২৮৬ রান।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত