কোয়ারেন্টাইনে ভর্তুকি চান আটকেপড়া সব প্রবাসী

| আপডেট :  ২৯ মে ২০২১, ১২:৩৫  | প্রকাশিত :  ২৯ মে ২০২১, ১২:৩৫

বিদেশে কর্মস্থলে গিয়ে কোয়ারেন্টাইনে থাকার খরচ মেটাতে সরকারের সহায়তা চান সব প্রবাসীরা। তারা প্রশ্ন করেন- আটকেপড়া সৌদি আরব প্রবাসীরা দেশ থেকে কর্মস্থলে ফিরে হোটেলে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকার খরচের অর্ধেক সরকারের কাছ থেকে ভর্তুকি বাবদ পাবেন। তাহলে অন্য দেশে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীরা কেনো এই সুবিধা পাবেন না?

বৃহস্পতিবার সরকারের তরফ থেকে ঘোষণা এসেছে, সৌদি প্রবাসীরা কর্মস্থলে ফিরে কোয়ারেন্টাইনে থাকার খরচের অর্ধেক বা জনপ্রতি ২৫ হাজার টাকা ভর্তুকি বাবদ পাবেন। এ ঘোষণার পর কাতার, কুয়েত, ওমান, মালয়েশিয়াসহ অন্যান্য দেশে কর্মরত বাংলাদেশিরা একই সুবিধা চেয়েছেন।

কর্মস্থলে ফিরতে সরকারি সহায়তার দাবিতে আটকেপড়া মালয়েশিয়া প্রবাসীরা আগামী ১ জুন মানববন্ধন করবেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে। আটকেপড়াদের ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। তাদের দাবি, ২৫ হাজার মালয়েশিয়া প্রবাসী দেশে এসে আটকা পড়েছেন করোনা মহামারির সময়। বাংলাদেশে-মালয়েশিয়ার বিমান চলাচল সীমিত হয়ে পড়া এবং মালয়েশিয়া সরকারের কঠোর কোয়েন্টাইন শর্তের কারণে তারা ফিরতে পারছেন না।

মানববন্ধন আয়োজকদের একজন ইসমাইল মোহাম্মদ বলেছেন, মালয়েশিয়া থেকে দেশে আসা কর্মীরা ১৫ মাস ধরে আটকে রয়েছেন। সরকার সৌদি প্রবাসীদের সহায়তার যে উদ্যোগ নিয়েছে তা খুবই প্রশংসনীয়। কিন্তু এ সুবিধা সব প্রবাসীকেই দেওয়া উচিত।

সৌদি সরকারের কোয়ারেন্টাইন নিয়মানুযায়ী, যাত্রীরা কোথায় থাকবেন তা নিশ্চিত করবে এয়ারলাইনস। সৌদি সরকার অনুমোদিত হোটেলগুলোতে যাত্রীদের থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। ঢাকা থেকে রিয়াদের যাত্রীদের ৬৫ হাজার ৬০০ টাকা এবং ৫৪ হাজার ৫০০ টাকা দিতে হচ্ছে কোয়ারেন্টাইন বাবদ। এ টাকার পুরোটাই যাচ্ছে কর্মীর পকেট থেকে। অন্যান্য খরচ মিলিয়ে লাখ টাকা বাড়তি খরচের বোঝা চেপেছে করোনাকালে আয় কমে যাওয়া কর্মীর ঘাড়ে।

প্রবাসী কল্যাণ সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেছেন, নতুন কর্মীরা কোয়ারেন্টাইনের ভর্তুকি পাবেন না। শুধুমাত্র যেসব কর্মী দেশে এসে আটকা পড়েছেন, তারা এ সুবিধা পাবেন। অন্য দেশ থেকে এসে আটকাপড়ারা এ সুবিধা পাবেন কি না- এমন প্রশ্নে সচিব বলেছেন, প্রথমে শুধু সৌদিগামীদের ভর্তুকি দেওয়া হবে। বাকি দেশের কর্মীদের বিষয়টিও বিবেচনায় রয়েছে।

এদিকে আটকেপড়া কাতার প্রবাসীরা বলছেন, তারা ১৫ মাস ধরে দেশে বেকার বসে আছেন। দেশে কাতারের ১০ থেকে ১৪ হাজার এমন কর্মী রয়েছেন। সৌদির চেয়ে কাতারে কোয়ারেন্টাইন নিয়ম বেশি কঠোর। আশরাফ হোসেন নামে এক প্রবাসী বলেন, সৌদিতে সাতদিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হয়। কাতারে থাকতে হয় সাত থেকে ১৪ দিন। সেখানে ৭০ হাজার থেকে এক লাখ ৪০ হাজার টাকা লাগছে। সৌদি প্রবাসীরা যেমন দেশে রেমিট্যান্স পাঠায় কাতার, কুয়েত, ওমানসহ অন্যান্য দেশের প্রবাসীরাও পাঠায়। তাহলে সবাইকে কেনো ভর্তুকি পাবে না?

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত