এফএ কাপের ফাইনালে রাতে মুখোমুখি চেলসি ও লিভারপুল
লিগ কাপের পুনরাবৃত্তি করে মৌসুমে চার শিরোপার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে চায় অলরেডস। তবে খালি হাতে ফিরতে নারাজ ব্লুজ। একমাত্র ট্রফি জয়ের সুযোগ হাতছাড়া করতে চায় না থমাস টুখেলের দল। টুর্নামেন্টের দেড়শো বছরপূর্তি উদযাপনে নানা আয়োজন থাকছে ওয়েম্বলিতে। হাইভোল্টেজ ফাইনাল শুরু রাত পৌনে দশটায়।
প্রস্তুত চেলসি, প্রস্তুত লিভারপুল। এফএ কাপের দেড়শো বছরের মাহেন্দ্রক্ষণ উদযাপনে প্রস্তুত ওয়েম্বলিও। লিগ কাপের পর আরও এক শিরোপা লড়াইয়ে অলরেডদের মুখোমুখি ব্লুজ। ফেব্রুয়ারিতে ম্যারাথন টাইব্রেকারে কপাল পুড়লেও এবার খালি হাতে ফিরতে চায়না থমাস টুখেলের দল। মৌসুমে শিরোপা উৎসবে মাতার এটাই শেষ সুযোগ লন্ডনারদের।
যদিও আটবারের চ্যাম্পিয়নদের সাম্প্রতিক ফাইনাল ভাগ্য খুব একটা ভালো নয়। শেষ দুই আসরেই তীরে এসে তরী ডুবিয়েছিলো চেলসি। এনগোলো কান্তে ও মাতেও কোভাসিচকে নিয়ে শঙ্কা আরও দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে নীল শিবিরে। তবে ফাইনালে আগে গার্দিওলার সুর টুখেলের কন্ঠে।
চেলসি কোচ থমাস টুখেল বলেন, এটা বলা ভুল হবে না ইংল্যান্ডে লিভারপুলের প্রতি বেশিরভাগ মানুষই সহানুভূতিশীল। কিভাবে আন্ডারডগ হওয়া যায় সে ব্যাপারে ক্লপ ওস্তাদ। তবে তাকে নিয়ে আমি ঈর্ষান্বিত নই। এটা কঠিন একটা ম্যাচ হবে।
বিপরীতে মৌসুমে রীতিমতো উড়ছে লিভারপুল। স্বপ্নের কোয়াড্রপলের পথে আরও একধাপ এগিয়ে মরিয়া অলরেডস। এক ফ্যাবিনিয়ো ছাড়া স্কোয়াডের সবাইকেই পাচ্ছেন য়্যুর্গেন ক্লপ।
লিভারপুল কোচ য়্যুগেন ক্লপ বলেন, চার শিরোপার জয়ের সুযোগ আমরা কাজে লাগাতে চাই। লিগ কাপে ওদের হারিয়েছি এটা সত্যি তবে তা ছিলো টাইব্রেকারে। এটা একেবারেই ভিন্ন একটা ম্যাচ।
সবশেষ ২০০৬ সালে এফএ কাপ জিতেছিলো লিভারপুল। এরপর ৬বার এই শিরোপা চেলসি ঘরে তুললেও শূণ্য হাতেই ফিরতে হয়েছিলো অলরেডদের। ২০১২ তে ফাইনালে ব্লুদের কাছেই ট্রফি হাতছাড়া করেছিলো দলটি।
এবারের ফাইনালে একাদশে ৫ ফুটবলার পরিবর্তন করতে পারবে দলগুলো। ম্যাচ অতিরিক্তি সময়ে গড়ালে আরও একজন ফুটবলারকে বদলি করতে পারবেন কোচ।
করোনা দু:সময় কাটিয়ে পুরোনো রূপে ফিরছে ওয়েম্বলি। এবার মাঠে বসেই ফাইনাল উপভোগের সুযোগ পাচ্ছেন ৯০ হাজার দর্শক। যাদের সামনে বিশেষ সম্মানে ভূষিত হবেন এফএ কাপের আইকন ফুটবলাররা। বিরতিতে থাকবে বিশেষ আয়োজনও।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত