দুমকিতে সরকারি খাবার স্যালাইন ডাস্টবিনে
জুবায়ের ইসলাম, দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর দুমকিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে’র মেয়াদ থাকা সত্ত্বে ও কিছু খাবার স্যালাইন ডাস্টবিনে ফেলে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওয়ার্ড ইনচার্জ আয়শা মারজানকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে’র রোগীদের জন্য বরাদ্দকৃত মেয়াদ আছে এমন কিছু সরকারি খাবার স্যালাইন ডাস্টবিনে পড়ে আছে। কিছু লোক মেয়াদ থাকায় স্যালাইন গুলো কুড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
হাসপাতালের স্টোর ইনচার্জ রুহুল আমীন বলেন, আমার এখান থেকে ওয়ার্ড ইনচার্জ আয়শা মারজান ওরাল স্যালাইন তার ওয়ার্ডে নিয়ে গেছেন। তিনি তারপর কি করেছেন তা তো আমি জানি না।
তিনি জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়ার কথা রয়েছে বলেও জানান তিনি। রিপোর্ট পাওয়ার পরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে আয়শা মারজানকে শোকজ করা হয়েছে।
ওয়ার্ড ইনচার্জ আয়শা মারজান বলেন, আমি জ্ঞাতসারে কোথাও ওরাল স্যালাইন ফেলিনি। সেবিকা রুমের একটা কাটনে স্যালাইন গুলো থাকতে পারে, অসাবধানতা বশত ক্লিনার বা পরিচ্ছন্ন কর্মী অন্যান্য ময়লা-আবর্জনার সাথে স্যালাইন গুলো ডাস্টবিনে ফেলে আসতে পারে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডাঃ মীর শহিদুল ইসলাম শাহীন বলেন, কেন সরকারি ওরাল স্যালাইন ময়লার ভাগাড়ে ফেলা হয়েছে তার কারণ জানতে চেয়ে আয়শা মারজানকে শোকজ করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান বলেন, আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছি। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত