ময়মনসিংহে প্রেমিকাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা, রিমান্ডে প্রেমিক
ময়মনসিংহ করেস পন্ডেন্ট : ময়মনসিংহের ভালুকায় গর্ত থেকে অজ্ঞাত এক তরুণীর পরিচয় পাওয়া গেছে। নিহত তরুণীর নাম তাহমিদা আক্তার (১৮)। এঘটনায় প্রেমিক শাহ আলম দীপু (২১) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৩০ মে) বিকালে শাহ আলম দীপুকে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তুলা হলে বিচারক ইমাম হোসাইন দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পরিদর্শক প্রসুন কান্তি দাস বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে বিচারক দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে রবিবার (২৯ মে) দ্বিবাগত রাতে নরসিংদী জেলার মাধবদী উপজেলা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত শাহ আলম দীপু জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার কাশিমপুর এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে এবং নিহত তাহমিদা আক্তার একই উপজেলার বাল্লুকবেড় গ্রামের সোহেল মিয়ার মেয়ে।
এবিষয়ে ভালুকা থানার ওসি (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম গ্রেপ্তারকৃত শাহ আলমের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, নিহত তাহমিনা আক্তারের সাথে শাহ আলম দীপুর দীর্ঘ দিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাহমিনা আক্তার গাজীপুরের একটি গার্মেন্টসে চাকরী করতেন এবং দীপু ভালুকায় শ্রমিক হিসাবে কাজ করত। সম্প্রতি শাহ আলম দীপুকে বিয়ে করার জন্য চাপ তাহমিনা আক্তার। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শাহ আলম দীপু তাহমিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২১ মে জেলার ভালুকায় একটি ভাড়া বাসা ভাড়া নিয়ে দু’জন এক সাথে বসবাস করা শুরু করে। বাসা ভাড়া নেয়ার তিনদিন পর গত মঙ্গলবার (২৪ মে) দ্বিবাগত রাতে ওই বাসায় তাহমিনাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে শাহ আলম দীপু। পরে মরদেহ গুম করার উদ্দেশ্যে ওই দিন রাতেই পৌর শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের খিরু নদীর পাশের একটি গর্তে রেখে পালিয়ে যায়। পরদিন বুধবার (২৫ মে) বিকালে স্থানীয়রা মরদেহ দেখতে পেরে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার (২৬ মে) সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
পরে ওই দিন রাতে ভালুকা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মাহবুবুর রশিদ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত