লকডাউন আরও বাড়বে কি না, যে আভাস পাওয়া গেছে

| আপডেট :  ২৯ মে ২০২১, ১১:১৯  | প্রকাশিত :  ২৯ মে ২০২১, ১১:১৯

করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) দ্বিতীয় ঢেউ রোধে টানা ৫৬ দিনের লকডাউন (বিধিনিষেধ) রোববার শেষ হচ্ছে। লকডাউন আরও বাড়ানো হবে কি না, সে ব্যাপারে সরকারি সিদ্ধান্ত জানা যায়নি। এ ব্যাপারে কোভিড সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটিও কোনো সুপারিশ করেনি। ফলে সোমবার থেকে মানুষের চলাচলে আর বিধিনিষেধ থাকছে না বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। দ্বিতীয় ঢেউ রোধে ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে এ লকডাউন শুরু হয়।

সংশ্লিষ্টরা জানান, করোনা সংক্রমণ কমে আসা এবং জীবন-জীবিকার কথা মাথায় রেখে লকডাউনের মেয়াদ আর বাড়ানো হচ্ছে না। করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি দেখে এখন অঞ্চলভিত্তিক লকডাউন কার্যকরে জোর দেওয়া হবে। সাধারণত কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী বিধিনিষেধ বা লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর আদেশ জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

শনিবার রাত ৮টা পর্যন্ত কমিটি লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর সুপারিশ করেনি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা আভাস দিয়েছেন- লকডাউন আর বাড়ছে না। একজন জানান, নতুন করে আর লকডাউন না দিয়ে অঞ্চলভিত্তিক লকডাউন কার্যকরের চিন্তা করছে সরকার। লকডাউন বাড়ানো নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, লকডাউন আর না বাড়লে এ নিয়ে কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে না। তবে মানুষের চলাচলে সব বিধিনিষেধ ওঠার পর পর্যটন এলাকাসহ যেসব জায়গায় জনসমাগম হয় সেখানে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ রোধে ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে লকডাউন শুরু হয়। ওইদিন থেকে মূলত বাস, ট্রেন ও লঞ্চসহ সব ধরনের গণপরিবহণ বন্ধ করে দেয় সরকার। তবে সেই শিথিল লকডাউন ছিল অনেকটাই অকার্যকর। এরপর ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ৮ দিনের কঠোর লকডাউন শুরু হয়। এটি পালনের জন্য ১৩টি নির্দেশনা দেওয়া হয়। পরে কয়েক দফায় সেই লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রোববার মধ্যরাতে।

কঠোর লকডাউন মধ্যে অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হতে নিষেধ করা হয়। এ সময় জরুরি সেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠান ছাড়া সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ আছে। তবে উৎপাদনমুখী শিল্প কারখানায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ চালানোর অনুমতি রয়েছে। ‘জীবন ও জীবিকার কথা বিবেচনা’ করে রোজার আগে বিধিনিষেধ শিথিল করে দোকানপাট ও শপিংমল সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এখনো সেই নিয়মই বহাল আছে। এরই মধ্যে ২৪ মে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে সব ধরনের গণপরিবহণ (দূরপাল্লার বাস, ট্রেন, লঞ্চ) চলাচলের জন্য অনুমতি দেয় সরকার। এছাড়া হোটেল, রেস্তোরাঁ ও খাবার দোকানগুলোতে ধারণক্ষমতার অর্ধেক আসনে বসে খাবার অনুমতি দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত