ইতালিতে শ্রমিক নিয়োগে ৩ হাজার কোটা পাবে বাংলাদেশ

| আপডেট :  ২৩ জুলাই ২০২২, ০১:০৬  | প্রকাশিত :  ২৩ জুলাই ২০২২, ০১:০৬

শ্রমবাজার গতিশীল করার জন্য বাংলাদেশ ও ইতালি সরকার চুক্তি ভিত্তিক কাজ করছে। এই চুক্তির ফলে বাংলাদেশি শ্রমিকরা কাজের জন্য বৈধ উপায়ে ইতালি যেতে পারবে। বাংলাদেশিরা সংরক্ষিত ৩ হাজার কোটা সুবিধা লাভ করতে পাবে। ভবিষতে এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইতালিয়ান রাষ্ট্রদূত এনরিকো নুনজিয়াতা।

শুক্রবার (২২ জুলাই) সকাল ১১টায় শরীয়তপুর পৌরসভা মিলনায়তনে মানব পাচার প্রতিরোধ ও নিরাপদ অভিবাসন উৎসাহিত করার লক্ষ্যে মতবিনিময় সভায় তিনি এ তথ্য জানান।

এনরিকো নুনজিয়াতা তার বক্তব্যে আরও বলেন, ২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইতালি সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ইতালিতে নির্দিষ্ট মৌসুমে এবং অন্যান্য সময়ে কাজ করার কোট ভিত্তিক সুবিধা লাভ করে। এরপর গত ২ বছরে ১ হাজার ৬০০ শ্রমিক বৈধ উপায়ে ইতালিতে কাজ করার সুযোগ পেয়েছে। বর্তমানে আরও ৩ হাজার বাংলাদেশি বৈধ ভিসা পেতে যাচ্ছে।

এখন থেকে বাংলাদেশিদের জন্য ইতালি যাওয়ার সুযোগ উন্মুক্ত থাকবে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিপদজনক পথে বিদেশ গমন সকলের জন্য উদ্বেগজনক উল্লেখ করে তিনি মানব পাচার রোধে জনসেচতনতা বৃদ্ধির উপর জোর দেয়ার তাগিদ দেন।

২০২২ সালে জুন মাস পর্যন্ত বিভিন্ন উপায়ে অবৈধ পথে ২১ হাজার ৮৪৮ অনিয়মিত অধিবাসী ইতালিতে প্রবেশ করে। যা গত বছরের তুলনায় ২২ শতাংশ বেশি। ১৪ হাজার ৭৫৮ জন ভূ-মধ্য সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পাড়ি জমায়। যার মধ্যে ইতালিতে প্রবেশ করে ৬ হাজার ৫৫৭ জন। এবং গ্রীসে পৌঁছায় ৫ হাজার ৭০ জন। যা গত বছরের তুলনায় ১৫৩ শতাংশ বেশি।

২০২২ সালে ইতালি সর্বমোট ২৮ হাজার ৫০৪ জন অনিয়মিত অধিবাসীকে নিবন্ধন করেছে। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩১ শতাংশ বেশি। অভিবাসন প্রত্যাশীদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত ৪ হাজার ৬০৬ জন বাংলাদেশি অভিবাসন চেয়ে আবেদন করেছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মিশরীয়রা।

শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসানের সভাপতিত্বে মত বিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, শরীয়তপুর ৩ আসনের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন, বাংলাদেশ পুলিশের মহা পরিদর্শক বেনজীর আহমেদ।

বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন, বিদেশ নেয়ার কথা বলে কোনো দালাল যেন কোনো সহজ-সরল, নিরীহ মানুষকে প্রলুব্ধ করে মৃত্যু ফাঁদে নিক্ষেপ না করতে পারে সেজন্য সকলের সহযোগিতা চাই। যারা প্রতারিত হচ্ছে তারা আপনার আমার ভাই, বন্ধু, পরিবারের লোক, তারা আপনার সন্তানও হতে পারে। সকলে এগিয়ে আসুন আমরা হাতে হাত মিলিয়ে এই অঞ্চলে থেকে আমরা এই অনিরাপদ অভিবাসন চিরতরে নির্মূল করি।

মতবিনিয়ম সভায় শরীয়তপুরের বিভিন্ন অঞ্চলের দালালের মাধ্যমে প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগী, জনপ্রতিনিধি, এনজিও কর্মী, সরকারী কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত