৩০০ আসনেই ইভিএমে ভোট চায় আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমরা মনে-প্রাণে ইভিএমে বিশ্বাস করি। চেতনায় ধারণ করি। কোনও বিশেষ এলাকা নয়। দেশের তিনশ’ আসনে ইভিএমে ভোট হোক, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এ দাবি জানাচ্ছি।’
আজ রোববার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে এই দাবি করেন ওবায়দুল কাদের। এসময় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ১৫ দফা লিখিত প্রস্তাব দেওয়া হয়। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল ইসির সঙ্গে বৈঠক করে।
সংলাপে আওয়ামী লীগ নির্বাচনের সময়ে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ নির্বাচন পরিচালনার জন্য আবশ্যকীয় সব সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে ন্যস্ত করার প্রস্তাব করেছে।
সংলাপে নিজেদের গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনে বিশ্বাসী উল্লেখ করে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ সাংবিধানিক রেগুলেটরি কমিশন ‘নির্বাচন কমিশন’-কে সর্বাত্মকভাবে সহায়তা করবে বলে ইসিকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য সব সরকারের সময় নির্বাচন কমিশনকে দলীয়করণ করা হয়েছে বলেও দাবি করে দলটি।
বর্তমান নির্বাচন কমিশনের সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করে আওয়ামী লীগ বলেছে, আওয়ামী লীগ সরকার ছাড়া অন্য কোনও সরকার নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালীকরণসহ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করেনি; বরং এটিকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছে।
দলটি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের ক্ষেত্রেও দেশি ও বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়োগে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, কোনও দেশের কূটনীতিক কিংবা দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট দেশের স্বার্থের সংঘাত রয়েছে— এমন ব্যক্তিবর্গকে আইনের বাধ্যবাধকতা হিসেবে নির্বাচন পর্যবেক্ষক করা যায় না উল্লেখ করে বলেছে, এই আইনের আওতায় কেবল নির্বাচন পর্যবেক্ষণে বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তি নির্বাচন পর্যবেক্ষক হওয়ার যোগ্য।
কমিশনকে আওয়ামী লীগ জানায়, বর্তমান ইসির হাতে আছে এক লাখ ৫০ হাজারের বেশি ইভিএম মেশিন। এসব মেশিন দিয়ে দেশের ৪৩ হাজার ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১৩ হাজার কেন্দ্রে শতকরা মাত্র ৩১ শতাংশ ভোট নেওয়া সম্ভব। আগামী নির্বাচনে ইভিএম মেশিনের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি করতে হবে।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত