জিয়ার খেতাব বাতিল ব্যাপারে যে প্রক্রিয়ার কথা জানালেন মোজাম্মেল হক

| আপডেট :  ০২ জুন ২০২১, ০৮:২১  | প্রকাশিত :  ০২ জুন ২০২১, ০৮:২১

জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধের খেতাব বাতিল করা হবে কি না তা যাচাইয়ে উপ-কমিটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। মন্ত্রী আরো বলেন, কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৭২তম সভায়, মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে স্বাধীনতার পর জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে দেয়া ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলে সুপারিশ করা হয়।

সে সময় খেতাব বাতিলের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছিল জামুকা। জামুকার সদস্য ও সাংসদ মোশাররফ হোসেনকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন সাংসদ শাজাহান খান ও মো. রশিদুল আলম। তারাও জামুকার সদস্য।

সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার হত্যার ষড়যন্ত্রে জিয়াউর রহমানের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায় থেকে বরাবরই অভিযোগ করা হয়। তবে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় তাকে আসামি করা হয়নি।

জামুকা যেসব অপরাধের জন্য জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সংবিধান লঙ্ঘন, সংবিধানের মূলনীতি বাতিল, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের মদদ দেওয়া ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রক্ষা, বিভিন্ন সময় আত্মস্বীকৃত খুনিদের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ, আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে জিয়াউর রহমানের সম্পৃক্ততামূলক বক্তব্য উল্লেখ থাকা, তাদের দেশত্যাগে সহায়তা ও গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন এবং মুক্তিযোদ্ধা হয়েও স্বাধীনতাবিরোধী লোকজন নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন।

আজকের আইনশৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকে, রোহিঙ্গাদের দেশের কোথায় পাওয়া গেলে ভাসানচরে পাঠিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। একই সাথে ভাসানচরে কেউ অনুমতি ছাড়া যেতে পারবে না বলেও সিদ্ধান্ত হয়।

এছাড়া, জাতীয় পরিচয়পত্র নির্বাচন কমিশন থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর, কোরবানির চামড়ার দাম দ্রুত নির্ধারণের বিষয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত