পদ্মায় নিহত খুলনার একই পরিবারের ৪ জনের দাফন সম্পন্ন
পদ্মায় স্পীডডুবির ঘটনায় নিহত ৪ জনকে দাফন করা হয়েছে। খুলনার তেরখাদা উপজেলার পারোখালী মাঠে আজ মঙ্গলবার সকালে জানাজা অনুষ্ঠিত হয় মনির শিকদার, তার স্ত্রী হেনা বেগম ও তাদের দুই কন্যা শিশু সুমী ও রুমীর। মনির শিকদারের মা লাইলী বেগমের কবরের পাশেই তাদের দাফন করা হয়। এসময় স্বজনদের কান্নায় শোকাবহ পরিবেশ তৈরী হয়।
গত সোমবার মনির শিকদারের মা লাইলী বেগম মারা যান। তাকে দাফন করতে ঢাকার মিরপুর থেকে স্বপরিবারে রওনা দিয়েছিলেন মনির শিকদার। গতকাল ভোরে পদ্মায় স্পীডবোট ডুবে তিনি ও পরিবারের সদস্যরা মারা যান। আল্লাহর অশেষ রহমতে বেঁচে যায় তাদের অপর শিশু কন্যা মীম খাতুন।
স্থানীয়রা জানান, গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় নিহত মনির শিকদারের মা লাইলী বেগমের জানাজায় উপস্থিত হবার কথা ছিল; মায়ের জানাজার পূর্বেই পুরো পরিবারের পদ্মায় সলীল মৃত্যু হল তার। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় মায়ের পাশেই দাফন করা হলো মনির শিকদারকে। সোমবার সেহেরী খেয়ে রাজধানী ঢাকার মিরপুর-১১ মসজিদ মার্কেটের কাপড় ব্যবসায়ী মনির শিকদার তেরখাদা সদর ইউনিয়নের পারোখালী গ্রামের বাড়িতে পরম মমতাময়ী মাকে শেষবারের মতো দেখতে তিন কন্যা ও স্ত্রীকে নিয়ে রওনা হয়েছিলেন। কিন্তু মাকে শেষবারের মতো আর দেখা হলো না, নিজেই সপরিবারে চলে গেলেন মায়ের সাথেই। পদ্মা নদীতে বালু ভর্তি বাল্কহেডের সাথে যাত্রীবাহী স্পিডবোটের সংঘর্ষে স্ত্রী হেনা বেগম, কন্যা সুমি খাতুন (৭), রুমি খাতুন (৪) ও মনির শিকদার নিহত হন। প্রাণে বেঁচে আছে শুধু তাদের ৯ বছর বয়সী মেয়ে মীম খাতুন।
নামাজের জানাজায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আ’লীগের যুগ্ম-সাধারণ সষ্পাদক মোঃ কামরুজ্জামাল জামাল, তেরখাদা উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ শহিদুল ইসলাম, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান এফএম অহিদুজ্জামান, মহানগর যুবলীগের সভাপতি মোঃ শফিকুল রহমান পলাশ, অধ্যক্ষ মাওলানা কবিরুল ইসলাম ও মাওলানা শারাফাত হোসেন দিপু প্রমুখ।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত