ভোটে সংবাদ সংগ্রহে কেউ বাঁধা দিলে তিন বছরের জেল চায় ইসি

| আপডেট :  ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৫:২৫  | প্রকাশিত :  ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৫:২৫

ভোটে সংবাদ সংগ্রহে কেউ বাঁধা দিলে তিন বছরের জেল চায় ইসিদ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণমাধ্যমের অবাধ সাংবাদ সংগ্রহে সাংবাদিকদের স্বাধীনতা দিতে কেউ যদি নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহে সাংবাদিকদের বাঁধা দেয় তাহলে সংশ্লিষ্টদের জন্য তিন বছরের কারাদণ্ডের বিধান চেয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধনের (আরপিও) সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে। রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি আরও বলেন, আপনাদের ক্যামেরাই আমাদের চোখ। আমাদের চোখে যেন প্রত্যেকটা অনিয়ম ধরা পড়ে। এজন্য আমরা যথ্যাথ ব্যবস্থা নেবা। আমার (ইসির) অন্যায়গুলো আপনার চোখে ধরা পড়লে ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমার ভুল ভ্রান্তি দেখিয়ে দেন আমি নিজেকে শুধরে নেব। এই মূল্যায়ন আমি মিডিয়াকে করে আসছি।

সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচনের প্রসঙ্গে টেনে তিনি বলেন, আমরা চ্যালেঞ্জ নিয়েছি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে অনিয়ম, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া নেওয়ার। এজন্য এই নির্বাচনে ২৬৫টি ভোটকক্ষের ৩৬৫টি সি ক্যামেরা রেখেছি। কন্ট্রোল রুম আমাদের ইসিতেই আছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে যেখানে যেটা অনিয়ম ধরা পড়েছে, আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। জোর পূর্বক একজনের ভোট একজন দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে আমরা চিহ্নিত করেছি। মাঠ প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতিা নিশ্চিত হওয়ার ছাড়াও যারা সন্ত্রাসী, জোর পূর্বক ভোট দেওয়ার চেষ্টা করে থাকে, তারা ভয়ের মধ্যে থাকে। ১১টা বুথে এই ধরণের ঘটনা ঘঠেছে। আমরা অনিয়মে জড়িতদের সঙ্গে সঙ্গে আইনের আওতায় এনেছি।

তিনি আরো বলেন, সংসদ নির্বাচনেও সব কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা দেওয়ার আন্তরিক ইচ্ছা, প্রচেষ্টা থাকবে। এটার সঙ্গে আর্থিক ও ট্যাকনিক্যাল সাপোর্টের বিষয় আছে। কোথাও কোথাও বিদ্যুৎ, ইন্টারনেটও নাই। তবে আমাদের ইচ্ছা আছে।

এই নির্বাচন কমিশনার আরো বলেন, বাজেট বরাদ্দের ঘাটতি থাকলে ঝূঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে সিসি ক্যামেরা দেব। ইচ্ছা আছে পুরো নির্বাচনটাই সিসি ক্যামেরার মধ্যেই আনা। সংসদের আগে যত নির্বাচন হবে সবগুলোতে ইভিএম ব্যবহার করবো এবং সিসি ক্যামেরা থাকবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সিসি ক্যামেরার প্রয়োজনীতা বাড়ছে। এটা লাক্সারি নয়, এটা এখন প্রয়োজন। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আস্থা বিশ্বাস হচ্ছে নিজস্ব ব্যাপার। আমরা ওপর আমার বিশ্বাস আছে। কিন্তু আপনার কি আছে? আস্থা ফেরানো চেষ্টা শেষ পর্যন্ত আমরা করবো। আমাদের নিজের ওপর শতভাগ আত্ববিশ্বাস আছে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত