দ্রুত ৫ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে শ্রীলঙ্কা
শিরোপার লড়াইয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে মুখোমুখি পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা। সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে, ফাইনালের ড্রেস রিহার্সালে পাকিস্তানকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসে একধাপ এগিয়ে লঙ্কানরা। তবে ফাইনালের আগে ওই হার থেকে শিক্ষা নিয়েই ট্রফি জয়ের মিশনে বোলিং করছে পাকিস্তান।
রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই হাইভোল্টেজ ম্যাচে টস জিতে প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কাকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান অধিনায়ক বাবর আজম।
ফলে আগে বোলিং করার ইচ্ছা থাকলেও বাধ্য হয়ে আগে ব্যাটিংয়ে নামতে হয় শানাকাদের। আর পাকিস্তানি বোলারদের তোপের মুখে শুরুতেই ৫ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে শ্রীলঙ্কা।
তরুণ এই পেসারের করা প্রথম বলটি ওয়াইড হয়। এরপর দ্বিতীয় বলটি ঠেকিয়ে তৃতীয় বলে এক রান নেন ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কা। তবে স্ট্রাইক পেয়ে ক্রিজে দাঁড়াতে না দাঁড়াতেই উইকেট উড়ে যায় কুশল মেন্ডিসের। ফলে মাত্র ২ রানেই প্রথম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা।
এরপর ক্রিজে এসে পাওয়ার প্লের সুবিধা কিছুটা আদায় করার চেষ্টা করেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। দর্শনীয় চারটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলের স্কোরকে নিয়ে যান চল্লিশের ঘরে। তবে এর মাঝেই হারিস রউফের পেস তোপে আরও দুটি উইকেট হারিয়ে বসে শ্রীলঙ্কা।
মেন্ডিস গোল্ডেন ডাক মেরে ফেরার পর সুবিধা করতে পারেননি আরেক ওপেনার নিসাঙ্কাও। ত্রিশ গজের ওপর দিয়ে তুলে মারতে গিয়ে শিকার হন বাবর আজমের দুর্দান্ত ক্যাচের। ১১ বলে এক চারে মাত্র ৮ রান করে ফেরেন নিসাঙ্কা। এরপর রউফের দ্বিতীয় শিকার হন ক্রিজে নতুনা আসা দানুস্কা গুনাথিলাকা।
মাত্র ১ রান করেই সরাসরি বোল্ড হয়ে ফেরেন এই বাঁহাতি। ফলে ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে ৩৬ রান তুলতেই তৃতীয় উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। তবুও ধনাঞ্জয়া ও ভানুকা রাজাপাকসের ব্যাটে পাওয়ার প্লে-তে ৪২ রান তুলতে পারে দলটি।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ১০ ওভারে দলটির সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৬৭ রান।
এর আগে টস হেরে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক বলেন, ‘এই টুর্নামেন্টে টসের ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমরা টসে জয়লাভ করতে পারিনি এবং আগে ব্যাট পেয়েছি। সেক্ষেত্রে চেষ্টা করব পাওয়ার প্লে কাজে লাগাতে। এ সময় পর্যাপ্ত রান স্কোরবোর্ডে তুলতে হবে।’
শ্রীলঙ্কা একাদশ:
কুশল মেন্ডিস (উইকেটরক্ষক), পাথুম নিসাঙ্কা, ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা, দানুশকা গুনাথিলাকা, দাসুন শানাকা (অধিনায়ক), ভানুকা রাজাপাকসে, চামিকা করুনারত্নে, ওয়ানিন্দু হাসরাঙ্গা, মহেশ থিকশানা, প্রমাদ মদুশান ও দিলশান মাদুশঙ্কা।
পাকিস্তান একাদশ:
বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক),ফখর জামান, ইফতিখার আহমেদ, খুশদিল শাহ, শাদাব খান, আসিফ আলী, মোহাম্মদ নওয়াজ, নাসিম শাহ, হারিস রউফ ও মোহাম্মদ হাসনাইন
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত