বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম মারা গেছেন

| আপডেট :  ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:১৮  | প্রকাশিত :  ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:১৮

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন আর নেই। বুধবার রাত সাড়ে নয়টায় গুলশান নিজ বাসায় ৮৩ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান এ কথা নিশ্চিত করেছেন।

১৯৩৯ সালের ১০ জানুয়ারি মুন্সীগঞ্জ জেলার দোগাছি গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে তার জন্ম। পিতা ছিলেন স্কুল শিক্ষক।

শাহ্ মোয়াজ্জেম হোসেন ১৯৫৪ সালে ঢাকার সেন্টগ্রেরিজ হাই স্কুল থেকে মেট্রিক পাশ করেন। ১৯৫৬ সালে ঢাকা কলেজ থেকে আইএ, জগন্নাথ কলেজ থেকে বিএ পাশ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই এমএ এবং এলএলবি পাশ করেন। ইতিহাসের অনেক আন্দোলন, সংগ্রামের নেতৃত্ব দানকারী এই নেতা ১৯৫২ সালে নবম শ্রেণির ছাত্রাবস্থায় ভাষা আন্দোলনে মিছিলে গ্রেফতার হয়ে কারাবরণ করেন। ১

১৯৫২ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান আমলেও কারাগার ছিলো তাঁর ঠিকানা। বন্ধুমহলে জেল বার্ড নামে পরিচিত শাহ্ মোয়াজ্জেম জীবনের ২০ বছর জেল খেটেছেন। ঢাকা কলেজ ছাত্র সংসদে নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক শাহ্ মোয়াজ্জেম হোসেন ১৯৫৮ সালে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরের বছর থেকে পর পর ৩ বার ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৬২ শিক্ষা আন্দোলনের মহানায়ক শাহ্ মোয়াজ্জেম হোসেন আইয়ুববিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলেন। ১৯৬৬ সালের ছয়দফা ও ১৯৬৯ সালের এগার দফার অন্যতম রূপকার মোয়াজ্জেম স্বাধীনতার স্বপক্ষে বিশ্বজনমত গঠনের জন্য ভারতীয় পার্লামেন্টে টানা আড়াই ঘণ্টা ভাষণ দেন। নিজ হাতে অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করা সে সময়ের জাতীয় নেতাদের মধ্যে তিনি অন্যতম। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ গঠনে বঙ্গবন্ধু সঙ্গী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ১৯৭০ ও ’৭৩ সালের উভয় নির্বাচনে তিনশ’ আসনের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ’

৭৩ সালে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় বার চীফ হুইপ নির্বাচিত হন। তিনি জাতীয় পার্টির মহাসচিব, মন্ত্রী, সংসদ উপনেতা ও উপ-প্রধানমন্ত্রী হন। জাতীয়তাবাদ ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী শাহ মোয়াজ্জেম মৃত্যুর আগে পর্যন্ত বিএনপির অন্যতম ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত