‘ভিসা জটিলতায়’ কুয়েতে শ্রমবাজার হারাচ্ছে বাংলাদেশ

| আপডেট :  ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৫:০৪  | প্রকাশিত :  ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৫:০৪

মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম ধনী দেশ কুয়েত। প্রতিনিয়ত চলছে দেশটির রাস্তাঘাট, শপিংমলসহ বড় বড় ভবন বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন কাজ। বিভিন্ন সেক্টরে দক্ষ-অদক্ষ অনেক শ্রমিক ভারত, মিশর, ফিলিপাইন ও বাংলাদেশি শ্রমিকরা কাজ করে থাকে।

করোনা মহামারির পর থেকে এই দেশে শ্রমিকের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা, কিন্তু (লামানা) বিশেষ অনুমোদনের কারণে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ শ্রমিক আনা যাচ্ছে না। ফলে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতসহ অন্য দেশগুলো এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কুয়েতে শ্রমিক শ্রমবাজারে আধিপত্য বিস্তার করছে।

দীর্ঘদিন বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য শ্রমবাজার বন্ধ থাকার পর ২০১৪ সাল থেকে বাসাবাড়িতে, ক্লিনিং কাজে, সিকিউরিটিসহ নির্দিষ্ট কিছু সেক্টরে শ্রমিক আনার অনুমতি দিলেও বাংলাদেশি দক্ষ শ্রমিক আসতে প্রয়োজন হয় লামানার (বিশেষ অনুমতি)। দেশটিতে বর্তমানে প্রায় আড়াই লাখ বাংলাদেশি বিভিন্ন পেশায় কর্মরত রয়েছে যার বেশিভাগই শ্রমিক।

কুয়েতের কমিউনিটি নেতা ও প্রবাসীরা দুই দেশের উচ্চপর্যায়ে আলোচনা বা কুটনৈতিক চ্যানেলে যোগাযোগ করে চলমান (লামানা) কুয়েত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ অনুমোদন বাতিলের বিষয়ে কুয়েত সরকারকে অনুরোধ করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানান।

এই (লামানা) বিশেষ অনুমোদন ছাড়া যদি বাংলাদেশের ভিসা খুলে দেয়া হয় তাহলে বাংলাদেশি মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে খুব সহজেই বাংলাদেশ থেকে মোবাইল টেকনেশিয়ান, টেইলারিংয়ের কাটিং মাস্টার, কারপেন্টার, ওয়েল্ডার, ইলেক্ট্রেশিয়ান, ড্রাইভার, ডেন্টিং পেইন্টিং, গাড়ির মেকানিক, ইঞ্জিনিয়ার ভাল বেতনে আনা যাবে। কুয়েতে দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি বৃদ্ধি পেলে বাড়বে রেমিট্যান্স, গতি বাড়বে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত