যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হাতের আঙ্গুল কেটে ফেলল যুবদল নেতা

| আপডেট :  ১০ অক্টোবর ২০২২, ০৭:৫১  | প্রকাশিত :  ১০ অক্টোবর ২০২২, ০৭:৫১

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের সদর উপজেলায় কুপিয়ে যুবলীগ নেতার বাম হাতের চার আঙ্গুল কেটে ফেলে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে যুবদল নেতা শাহিন মিয়ার বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় তিন-জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শাহিন মিয়া উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের লালু মিয়ার ছেলে এবং ওই ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি।

আহত যুবলীগ নেতা জনি ফকির (২৪) একই ইউনিয়নের ইদ্রিস আলীর ছেলে এবং ওই ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য।
রবিবার (৯ আগস্ট) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের ভাটিঘাগড়া গ্রামের ঘাগড়া চৌরাস্তা বাজারের যুবলীগের কার্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনায় সোমবার (১০ আগস্ট) আহত যুবলীগ নেতার বাবা ইদ্রিস আলী বাদী হয়ে যু্বদল নেতা শাহিন মিয়াসহ ১০ জনের নামে ও অজ্ঞাতনামা ৮ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।

এবিষয়ে সদর উপজেলা যুবলীগ নেতা ফরহাদ হোসেন বলেন, গতকাল সন্ধ্যার দিকে আমি,আহত জনি ফকিরসহ ১০ থেকে ১২ জন ঘাগড়া ইউনিয়নের ঘাগড়া চৌরাস্তা যুবলীগের কার্যালয়ে বসে ছিলাম। এসময় হঠাৎ ইউনিয়ন যু্বদলের সভাপতি শাহিন মিয়ার নেতৃত্বে আবু রায়হান, সোহেল মিয়াসহ অন্তত ১৫ জন অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর হামলা করে।

এসময় জনি ফকিরকে কুপিয়ে তার বাম হাতের চার আঙ্গুল কেটে ফেলে দেয়। তার ডান হাত, মাথায় ও পিঠে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এছাড়াও অফিসে থাকা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মাননীয় প্রধানন্ত্রীর ছবি মাটিতে ফেলে কুপিয়ে ছিন্ন-ভিন্ন করে যুবদলের নেতাকর্মীরা।

পরে আমাদের ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন লোকজন ছুটে আসলে যুবদলের সন্ত্রীরা পালিয়ে যায়। এসময় জনিকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি। এখনো সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন।

আহত জনির বড় ভাই রাসেল মিয়া বলেন, আমার ভাই যুবলীগের রাজনীতি করে বলেই যু্বদলের নেতারা তাকে কুপিয়ে বাম হাতের চার কেটে ফেলে দিয়েছে। বাম হাত, শরীরে ও মাথায় কুপিয়েছে। আমরা এর কঠিন বিচার চাই।
এবিষয়ে জনির মা মমতাজ বেগম বলেন, আমার ছেলেকে কুপিয়ে পঙ্গু করে ফেলছে। এখন সে কিভাবে চলবে, কি করবে? আমি দোষীদের কঠিন বিচার চাই।

এ বিষয়ে কোতোয়ালী মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ফারুক হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, এই ঘটনায় মামলা দায়েরের পর রাতেই অভিযান চালিয়ে এজাহার নামীয় আসামী আজিজুল জক, শাহ আলী ও রনি মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। গ্রেফতারকৃতদের আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত