ইন্টারনেট ব্যবহারকারী অর্ধেক শিক্ষার্থী যৌন নিপীড়নের শিকার

| আপডেট :  ১৮ নভেম্বর ২০২২, ০৮:২৪  | প্রকাশিত :  ১৮ নভেম্বর ২০২২, ০৮:২৪

ইন্টারনেট ব্যবহারকারী মাধ্যমিকের অর্ধেকের বেশি শিক্ষার্থী যৌন নিপীড়নের শিকার। এমন তথ্য প্রকাশ করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) একদল গবেষক।

২০২১ সালের নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ওপর চালানো গবেষণায় মিলেছে এসব তথ্য। তারা বলছেন, গ্রামের চেয়ে শহরে নির্যাতনের হার দেড়গুণ বেশি।

শহর বা গ্রাম সবখানেই এখন স্মার্টফোনসহ নানা গেজেট নির্ভর জীবন। ইউটিউব চ্যানেলে কার্টুন দেখা ছাড়া অনেক শিশু খাবারই খায় না।

শিশুদের ইন্টারনেট ব্যবহার নিয়ে বিএসএমএমইউ’র গবেষণা বলছে, গ্রামীণ এলাকার ১১ থেকে ১৭ বছরের ৩৩ শতাংশ শিশু ইন্টারনেট ব্যবহার করে। যাদের ৫৯ শতাংশের শিশু এক বা একাধিক সাইবার অপরাধে জড়িত।

২০২১ সালে নবম ও দশম শ্রেণির ৫৬ শতাংশ কিশোর এবং ৬৪ শতাংশ কিশোরী ইন্টারনেটে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন।

গবেষণা দলের প্রধান অধ্যাপক মো. আতিকুল হক বলেন, যেসব ওয়েবসাইট অফ আছে, সেগুলোতে ঢোকার চেষ্টা করে টিনএজাররা। এগুলো আবার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করে। যখন তারা এ ধরনের মিডিয়া দেখে, তখন কিছু লোক তাদের কুপ্রস্তাব দেয়। অনেক ক্ষেত্রে নগ্ন ছবিও পাঠায়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইন্টারনেটের অপরাধ জগত থেকে শিশুদের রক্ষায় অভিভাবকদের সচেতনতা জরুরি।

বিএসএমএমইউ’র শিশু নিউরোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক গোপেন কুমার কুণ্ডু বলেন, প্রথম ৩ বছরে শিশুদের মোবাইল ডিভাইস দেয়া যাবে না। এতে তাদের ব্রেন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে ৩ থেকে ৫ বছর বয়সে ইলেকট্রনিক ডিভাইস দেয়া যেতে পারে। কিন্তু সেটা ১ ঘণ্টার জন্য, তাও আবার একাডেমিক কাজে। এসময়ে বাচ্চাদের ডিভাইস দিলে মাথাব্যথা করে, দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে যায়। এমনকি হজমেও সমস্যা হয়।

গবেষণা তথ্য বলছে, ১৩ থেকে ১৮ বছরের কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে ১৬.২ শতাংশ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত