মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোয় গতি নেই

| আপডেট :  ১৩ ডিসেম্বর ২০২২, ১২:১২  | প্রকাশিত :  ১৩ ডিসেম্বর ২০২২, ১২:১২

মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানোয় গতি নেই। প্রায় দেড় লাখ কর্মী পাঠানোর অনুমোদন থাকলেও ৪ মাসে দেশটিতে কর্মী গেছে ২০ হাজারেরও কম।

সমঝোতা চুক্তির শুরুতে বাংলাদেশের সিদ্ধান্তহীনতায় দেশটিতে কাঙ্ক্ষিত কর্মী পাঠানো যায়নি বলে জানিয়েছেন জনশক্তি রফতানিকারকরা। তারা বলছেন, শুরুর সিদ্ধান্তহীনতায় নেপালসহ অন্য দেশ থেকে কর্মী নিয়ে চাহিদা পূরণ করেছে মালয়েশিয়া।

কর্মী প্রেরণের পদ্ধতি নিয়েও অনেকেরই প্রশ্ন আছে। ধীরগতির বিষয়টি পর্যালোচনা করার কথাও বলেন তারা। আর বিশ্লেষকরা বলছেন, সমঝোতা চুক্তিতেই দুর্বলতা আছে।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা) সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক কে এম মোবারক উল্লাহ শিমুল বলেন, এটার জন্য আমি নিজেদেরই দায়ী করবো। যারা আমাদের নিয়ন্ত্রক তারা বিষয়টিকে ভালোভাবে হ্যান্ডেল করতে পারেনি। ৭ মাসে তারা আমাদের শেষ করে দিছে। এখন লোক নেয়ার হার কম। মালয়েশিয়ায় নতুন সরকার আসলে গতি বাড়বে।

বায়রার মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান বলেন, যে পক্রিয়ার মাধ্যমে এটি হচ্ছে তা খুবই ধীর গতির। আমার মনে হয় এটি পর্যালোচনা করা দরকার; এতগুলো লোক পাঠানোর বিষয়ে ক্লিয়ারেন্স থাকলেও কোন কারণে ১৫-২০ হাজারের বেশি কর্মী যেতে পারেনি।

বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক শহীদুল আলম বলেন, মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণ নিয়ে বাংলাদেশে কোনো সমস্যা নেই। দেশটির অভ্যন্তরীণ জটিলতার কারণে কর্মী যাওয়ার হার কম। আর রিক্রুটিং এজেন্সির সংখ্যাও কম হওয়া একটি কারণ বলে জানান তিনি।

যদিও বিশ্লেষকরা বলছেন, এজেন্সির সংখ্যা যাই হোক, প্রক্রিয়াগত জায়গায় খুব একটা পরিবর্তন আসেনি। পর্দার আড়ালে থেকে যে চক্রটি এ বাজারকে নিয়ন্ত্রণ করছে তা আজও ভাঙা যায়নি।

অভিবাসন বিশ্লেষক আসিফ মুনীর বলেন, রিক্রুটিং এজেন্সির সংখ্যা যাই হোক, পক্রিয়াগত খুব একটা পরিবর্তন আসেনি। এগুলোর পেছনের নেপথ্যে যারা কাজ করেন, তাদের যদি সৎ উদ্দেশ্য না থাকে, মানুষের কথা চিন্তা না করে শুধু লাভের কথা চিন্তা করে, তাহলে মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণের যে পক্রিয়া শুরু হয়েছে তা দুর্বল থাকবে।

গত বছরের ডিসেম্বরে দীর্ঘ টানাপোড়নের পর মালয়েশিয়ার সাথে সমঝোতা চুক্তি হয়। এরপর কর্মী প্রেরণের পদ্ধতি ঠিক করতেই কেটে যায় আরও প্রায় ৮ মাস। সব জটিলতা শেষে আগস্টের শেষ দিকে দেশটিতে কর্মী যাওয়া শুরু হয়।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত