টাইগারদের মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়ে ভারতের টেস্ট জয়
কঠিন কাজটাই করে ফেলেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। সাকিব আল হাসানকে সাথে নিয়ে গত দিনের ধ্বংসযজ্ঞ চতুর্থ দিনেও চালিয়ে বাংলাদেশকে বসান তিনি ঢাকা টেস্টের চালকের আসনে। কিন্তু হুট করেই রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও শ্রেয়াস আইয়ার বিরুদ্ধ কন্ডিশনে করে ফেলেন আরও কঠিন কাজ। খাঁদের কিনারা থেকে দলকে টেনে তুলে টাইগারদের সম্ভাব্য জয় কেড়ে নিলেন এই দুই ব্যাটার। তাই, ঢাকা টেস্টের থ্রিলার শেষে জয়ী দলের নাম বাংলাদেশ নয়, ভারত। সাকিব বাহিনীকে ৩ উইকেটে হারিয়ে টেস্ট সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতে নিলো লোকেশ রাহুলের দল।
অথচ দিনের শুরুতে এক ঘণ্টার মধ্যেই মাত্র ৩০ রানের মাঝে ভারতের ৩ উইকেট তুলে নিয়ে জয়ের সুবাস পেতে শুরু করে বাংলাদেশ। রিশাভ পান্তের উইকেট পতন তখন মনে হচ্ছিল, টাইগারদের জয় যেন সময়ের ব্যাপার। মিরাজ-সাকিবের স্পিন-ঘূর্ণিতে রীতমতো কাঁপছিল ভারত! জয়ের লক্ষ্য ১৪৫ রান আর, ৭৪ রানেই নেই ভারতের ৭ উইকেট। সেখান থেকে ভারতের হয়ে ম্যাচ বের করে আনেন শ্রেয়াস আইয়ার ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন। আক্সার প্যাটেলের বিদায়ের পর স্পিনে বরাবরই স্বচ্ছন্দ শ্রেয়াসের সাথে যোগ দেন অশ্বিন। মিরাজের ডেলিভারিতে শর্ট লেগে এই বোলিং অলরাউন্ডারের সহজ ক্যাচ মিস করেন মুমিনুল হক। কিন্তু দিন শেষে সেই ক্যাচ মিসই হয়ে দাঁড়ায় টাইগারদের পরাজয়ের বড় কারণ। অশ্বিন ও শ্রেয়াসকে আর বিচ্ছিন্ন করা যায়নি। এই দু’জন পাল্টা আক্রমণে ১০৫ বলে সংগ্রহ করেন ৭১ রান। আর নিশ্চিত করেন ভারতের সিরিজ জয়। অশ্বিন ৪২ এবং শ্রেয়াস অপরাজিত থাকেন ২৯ রানে।
দিনের শুরুতে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে নাইট ওয়াচম্যান জয়দেভ উনাদকাটকে ফেরান সাকিব আল হাসান। ৭১ রানের মাথায় অপর ব্যাটার রিশাভ পান্তকে একইভাবে তুলে নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৩৪ রান করা আক্সার প্যাটেলকেও বোল্ড করেন মিরাজ। ডানহাতি এই অলরাউন্ডার ৬৩ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। অপর দুইটি উইকেট নিয়েছেন সাকিব আল হাসান।
এর আগে, তৃতীয় দিনের শুরুতেই দলীয় ১৩ রানে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের শিকার হয়ে হতাশ করেন শান্ত। মুমিনুল হকও মাঠ ছাড়েন সিরাজের বলে। বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমও। প্রথম টেস্টে শতকের দেখা পাওয়া জাকির হাসান পান ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট ফিফটি। তবে ব্যক্তিগত ৫১ রানের মাথায় উমেশ যাদবের বলে আউট হন জাকির।
ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলে একপাশ আগলে রেখে ক্যারিয়ারের ১৫তম অর্ধশতক তুলে নেন লিটন দাস। সিরাজের বলে বোল্ড হওয়ার আগে করেন ৭৩ রান। তাইজুল ও খালেদ দ্রুত ফিরলে ২৩১ রানে শেষ হয় বাংলাদেশের ২য় ইনিংস।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত