খেজুরের রস পানে সতর্কতা

| আপডেট :  ১১ জানুয়ারি ২০২৩, ০৯:২৫  | প্রকাশিত :  ১১ জানুয়ারি ২০২৩, ০৯:২৫

দেশে প্রাণঘাতী নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। খেজুরের রস থেকে এ সংক্রমণ হয়েছে। আক্রান্ত হওয়ার আগে ওই ব্যক্তি কাঁচা খেজুরের রস খেয়েছিলেন। মৃত ব্যক্তি থেকে তার পরিবারের সদস্য বা স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে এর সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে।

বুধবার আইইডিসিআর আয়োজিত ‘শীতের সংক্রামক রোগ এবং নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণ’ শীর্ষক সম্মেলনে এই কথা জানানো হয়।

সেমিনারে আইইডিসিআর’এর বিজ্ঞনী ও গবেষকরা বলেন, গত সপ্তহে রাজশাহীর এক নারী নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। নিপাগ ভাইরাসের বাহক বাদুড়। বাদুড় থেকে খেজুরের রসে এ ভাইরাসের বাহক এসেছিল। এর আগে ২০২২ সালে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার তিনটি ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছিল। যার মধ্যে দুই জন মারা যান।

আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরিন বলেন, এ দেশে বাদুড়ের লালা বা প্রস্রাবের মাধ্যমে নিপাহ ভাইরাস ছড়ায়। মানুষ যখন দূষিত কাঁচা খেজুরের রস পান করে তখন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। কাঁচা খেজুরের রস পান এবং অর্ধেক খাওয়া যেকোনো ফল খাওয়া করা উচিত নয়।

সেমিনারে বলা হয়, নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত ৭১ শতাংশ মানুষ মারা যায়। নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ প্রকাশ পেতে রস খাওয়ার পর আট থেকে ৯ দিন সময় লাগে। মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণের ক্ষেত্রে লক্ষণগুলো ছয় থেকে ১১ দিন পরে দেখা যায়। আইইডিসিআর-এর গবেষকদের মতে, খেজুরের রস গরম করার পর পান করা নিরাপদ। গুড়ও নিরাপদ। খেজুরের রস সংগ্রহকারীদের কাজ শেষে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার পরামর্শও দিয়েছেন।

বাংলাদেশে ২০০১ সালে প্রথম নিপাহ শনাক্ত হয় মেহেরপুরে। এরপর প্রায় প্রতিবছর কোনো না কোনো জেলায় এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটছে। এ পর্যন্ত আক্রান্ত ৩২৬ জনকে শনাক্ত করা গেছে। তাঁদের মধ্যে মারা গেছেন ২৩১ জন বলেও সেমিনারে জানানো হয়।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত