কালকিনিতে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ১৪ বসতঘর ভাংচুর ও লুটপাট, আটক ৬

| আপডেট :  ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:৩৮  | প্রকাশিত :  ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:৩৮

সবুজ খান, মাদারীপুর থেকে: মাদারীপুরে মাহফিলের তবারক বিরতণকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের প্রায় ১৪ টি বসত ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।এ সময় ৫ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় ৬ জনকে আটক করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে কালকিনি উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের ফুলবাড়ি গজারিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ ভোরে ফজরের নামাজ চলাকালীন সময়ে আলীনগর ইউনিয়নের ফুলবাড়ি গজারিয়া গ্রামের অভিযুক্ত আমির হোসেনের নেতৃত্বে ৪০ থেকে ৫০ জনের মত একটি দল দেশীয় অস্ত্রসহ পাশ্ববর্তী গ্রামের মিজান চোকদারের বাড়িসহ প্রায় ১০টি বসতঘর ভাংচুর সহ ব্যাপক লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া যায়। রেজাউল ফকিরের আয়োজনে গত ২০ শে জানুয়ারী একটি দরবার শরীফের মাহফিল গজারিয়া গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়। সেই মাহফিলে খিচুরী খাওয়াকে কেন্দ্র করে (তোবারক) সেচ্ছাসেবী মিজান চোকদার, এর সাথে একই গ্রামের আমির হোসেন বেপারী সহ তাদেন লোকজনদের সাথে সংঘর্ষ হয় পরে স্থানীয় শালিশ মিমাংশার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হওয়ার কথা হয় কিন্তু হঠাৎ অভিযুক্ত আমির হোসেন বেপারী,দুলাল বেপারী,শহিদ বেপারী তাদের দলবল নিয়ে মাহফিলের সেচ্ছাসেবী মিজান চোকদারসহ সকল সেচ্ছাসেবীর বসতবাড়িতে ভাংচুর ও ব্যাপক লুটপাট চালায়। ভুক্তভোগী পরিবার গুলো জানায় তাদের নগদ অর্থসহ ৭টা ছাগল এমনকি বাড়ি হাস-মুরগীও নিয়ে যায়।এবং আহত ৫ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় কালকিনি থানা পুলিশের অভিযানে ৬ জনকে আটক করা হয়েছে।এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষার সার্থে অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়

ভুক্তভোগী মিজান চোকদার বলেন, আমির হোসেন বেপারী, দুলাল বেপারী, শহিদ বেপারী তাদের দলবল নিয়ে হামলা চালায় নগদ ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে যায় যা তিনি বিদেশ যাওয়ার জন্য ঘরে রেখেছিলেন এবং ৭ ছাগলসহ হাস-মুরগি লুট করে নিয়ে যায়।

ভুক্তভোগী হাশমত আরা বেগম (৪৫) বলেন, প্রথম বার আক্রমনের সময় সবার অনুরোধে ওরা ফিরেছিল কিন্তু আমির বেপারী নেতৃত্ব দিলে আমার সব কিছু শেষ হয়ে গেছে ঘরের ভিতরে কিছুই নেই আমি এর বিচার চাই

অভিযুক্ত নেতৃত্ব দেয়া নেতা আমির বেপারী বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি পরে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিকদের বলেন, আমি এসবের কিছুই জানি না উল্টো তিনি বলেন প্রতিপক্ষ আমাদের বসতঘর ভাংচুর করেছে।

এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হোসেন বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। সংবাদ শোনার সঙ্গে সঙ্গে আমিসহ পুলিশি ফোর্স উপস্থিত হই এবং অবস্থা নিয়ন্ত্রণে নিই। এ পর্যন্ত ৬ জনকে আটক করেছি। এখনও কোন মামলা হয়নি তবে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত