ইসরাইল বারবার চেয়েছে, ওদের স্বীকৃতি দেব না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ফিলিস্তিনের সঙ্গে আত্মার আত্মীয় সম্পর্ক জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেছেন, ফিলিস্তিনি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের স্বীকৃতি না পাওয়া অবদি ইসরাইলকে গ্রহণ করবে না বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার (১০ জুন) রাষ্ট্রীয় অথিতি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতি কর্তৃক ফিলিস্তিনকে জরুরি ওষুধ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শুধু আমাদের সরকার নয়, আমাদের দেশের মানুষেরও তাদের (ফিলিস্তিন) জন্য সিমপেথি। ফিলিস্তিন আমাদের বড় বন্ধু। আমাদের জাতির পিতার সময় থেকে ফিলিস্তিনের জনগণের সঙ্গে আমাদের আত্মার আত্মীয় সম্পর্ক। আমরা বিশ্বাস করি, যতদিন স্বাধীন সার্বভৌম ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠিত না হবে আমরা ততদিন তাদের সঙ্গে আছি এবং আমরা ইসরাইলকে গ্রহণ করব না। আমরা এখনো তাদের স্বীকৃতি দেইনি।
একদিন ফিলিস্তিন একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হবে আশা প্রকাশ করে ড. মোমেন বলেন, তারা (ইসরাইল) বারবার আমাদের অ্যাপ্রোচ করেছে। আমাদের ফিলিস্তিন ভাইদের ওপর অত্যাচার বন্ধ না হওয়া অবদি আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ওদের স্বীকৃতি দেব না।
১৯৬৭ সালের আইন অনুযায়ী ফিলিস্তিন ও ইসরাইল রাষ্ট্রের সীমানা অনুসারে বাংলাদেশ দুই রাষ্ট্রের সমাধান চায় বলেও জানান ড. মোমেন।
চলমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন দেশকে সরকারি সাহায্য পাঠানো হয়েছে। ফিলিস্তিনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জনগণও অনুভূতির জায়গা থেকে দেশটির জন্য সাহায্য পাঠাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা করোনার মধ্যে অন্য দেশগুলোকে সরকারি সাহায্য পাঠিয়েছি। কিন্তু ফিলিস্তিনের ক্ষেত্রে সরকার এবং জনগণ সাহায্য পাঠাচ্ছে।
বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনকে ১৪শ’ কেজি ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। এসব ওষুধের মূল্য ৪০ লাখ টাকা।
ইসরাইল কর্তৃক ফিলিস্তিনের জনগণের ওপর গাজায় যে যুদ্ধ হয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে দেশটি কঠিন সময় পার করছে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত ইউসুফ রামাদান বলেছেন, কঠিন সময়ে ফিলিস্তিনের জনগণের পাশে থাকায় বাংলাদেশের মানুষ ও সরকারকে কখনও ভুলব না।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার মতো শব্দ আমার অবিধানে নেই। আমরা এই সহযোগিতার কথা কখনও ভুলব না। আর এটাই হচ্ছে আমাদের দু’দেশের জনগণের গভীর সম্পর্ক। গত ৫০ বছর থেকে আমাদের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হচ্ছে। দেশটির জন্য আরও জরুরি ওষুধ প্রয়োজন বলেও জানান রাষ্ট্রদূত রামাদান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ সালেহ ওয়াই রামাদান, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রির সাধারণ সম্পাদক এসএম শফিউজ্জামান।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত