রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ত্বরান্বিত করতে যে দেশ মধ্যস্থতা করছে

| আপডেট :  ০৮ মে ২০২৩, ০৮:০২  | প্রকাশিত :  ০৮ মে ২০২৩, ০৮:০২

বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, একটি দায়িত্বশীল প্রধান দেশ হিসেবে চীন রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন ত্বরান্বিত করতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে ‘অবিচলভাবে মধ্যস্থতা করছে’। শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে কসমস ডায়ালগ অ্যাম্বাসেডরস লেকচার সিরিজের অংশ হিসেবে ‘বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক :ভবিষ্যতের পূর্বাভাস’ শীর্ষক এক সিম্পোজিয়ামে তিনি এসব কথা বলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু একটি মানবিক ট্র্যাজেডি এবং এটি আর কখনোই হওয়া উচিত নয়। তিনি বলেন, চীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করে, কারণ তিনি বাংলাদেশের মাটিতে এই রোহিঙ্গাদের স্থান দিয়েছেন। বাংলাদেশ ১২ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাদের আতিথেয়তার জন্য বাংলাদেশ বিশাল ত্যাগ স্বীকার করেছে। রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, কম আগ্রহ এবং আন্তর্জাতিক দাতাদের কম অনুদানের কারণে তারা রোহিঙ্গাদের খুব খারাপ পরিস্থিতিতে থাকতে দেখছেন এবং এর একমাত্র উপায় হলো প্রত্যাবাসন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার দীর্ঘদিন ধরে একে অপরের সঙ্গে আলোচনা করে আসছে এবং আশা প্রকাশ করেন যে, দুই দেশ ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারবে।

তিনি বলেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচটি স্থায়ী সদস্যের মধ্যে একটি হিসেবে চীন মধ্যস্থতাকারী ও সহায়তাকারীর ভূমিকা পালনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করছে। আশা করছি, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থনে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের যৌথ প্রচেষ্টায় প্রত্যাবাসন হবে। এটি একটি টেকসই প্রক্রিয়া হবে এবং হওয়া উচিত। রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, বাংলাদেশ ও চীন সব সময়ই মূল স্বার্থের ইস্যুতে একে অপরকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করেছে। আমরা উভয়েই শান্তির জন্য স্বাধীন কূটনীতি অনুসরণ করি। আমরা সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা, আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং জাতীয় মর্যাদা রক্ষায় একে অপরকে সমর্থন করি।

তিনি আরও বলেন যে, তারা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে সমন্বয় ও সহযোগিতা করে এবং যৌথভাবে বহিরাগত হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করে। গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের মতো ইস্যুতে আমরা কখনই একে অপরকে অভিযুক্ত করিনি। কসমস ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও সাবেক পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী সিম্পোজিয়ামে সভাপতিত্ব করেন। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতউল্লাহ খান। চীনের সেন্টার সাংহাই ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ-এর ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের সহকারী রিসার্চ ফেলো এল আই হংমেই এবং ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত তারিক এ করিম সংলাপে আলোচক হিসেবে অংশ নেন।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত