স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করতে চাই সভাপতি পদপ্রার্থী মামুন আহমেদ রাশেদ

| আপডেট :  ১৪ জুলাই ২০২৩, ০৪:৫১  | প্রকাশিত :  ১৪ জুলাই ২০২৩, ০৪:৫১

আল আমিন কবির, সোনারগাঁও, নারায়ণগঞ্জ: স্বাধীন বাংলার স্বপ্নদ্রষ্টা ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে দলের পাশে থেকে পূর্বের ন্যায় কাজ করে যেতে চাই বলেছেন সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি পদপ্রার্থী, সাবেক ছাত্রনেতা মামুন আহমেদ রাশেদ।

মামুন আহমেদ রাশেদ বলেন, আওয়ামী লীগের আহ্বানে আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় অংশগ্রহণ ও জাতীয় এবং স্থানীয়ভাবে দলীয় সকল কর্মসূচি পালন সহ দলের সাথে সম্পৃক্ততার কারণে সোনারগাঁ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি পদে প্রার্থী হওয়ার জন্য আওয়ামীলীগ ও সহযোগি অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা তাকে সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি পদে সমর্থন যুগিয়ে যাচ্ছেন।

মামুন আহমেদ রাশেদ এর জীবন বৃত্তান্ত সম্বন্ধে জানতে গিয়ে জানা যায়, তিনি একজন রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান, তাঁর বাবা সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দীর্ঘ যুগ ধরে সততা ও নিষ্ঠার সাথে আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক এর দায়িত্ব পালন করছেন। যিনি আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে রাজপথে থেকে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেন, তিনি হলেন পিরোজপুর গ্রামের কৃতি সন্তান মোঃ ফিরোজ জামান মোল্লা ও মা রাশিদা জামান এর সুযোগ্য পুত্র মামুন আহমেদ রাশেদ যিনি (বিএসএস) ডিগ্রী প্রর্যন্ত লেখাপড়া শেষ করে রাজনীতির পাশাপাশি ব্যাবসা করছেন। তিনি ছোটবেলা থেকে তাঁর বাবার হাত ধরে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে প্রবেশ করেন।
রাজনীতিতে প্রবেশ করে দলের জন্য বহু ত্যাগ শিকার সহ বিএনপি ও জামায়াতের হাতে হামলা ও মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছেন। তিনি ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি ও জামায়াত জোটের সময়ে অনেক নির্যাতন ও মিথ্যা মামলার শিকার সহ সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়ায় বহুল আলোচিত এস আই মার্ডার মামলা, সোনারগাঁয়ের কাঁচপুরে রেকার পোড়ার মামলা,উল্লেখিত মামলাসমূহের কারণে পুলিশি নির্যাতনের শিকারের পাশাপাশি পলাতক জীবন যাপন সহ তিনি ব্যাপক হয়রানীর শিকার হয়েছেন।

মামুন আহমেদ রাশেদ এর রাজনৈতিক জীবন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ –৩ (সোনারগাঁ) আসনে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে কাজ করেছি। ২০০১ সালে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে অবৈধভাবে দেশে ক্ষমতায় আসা বিএনপি জামায়াত জোটের বিরুদ্ধে ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। ২০০৬ সালে বিএনপি জামায়াত জোটাকে হটানোর জন্য সোনারগাঁয়ের কাঁচপুরে লড়াই সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক বন্ধ করে দেই এবং আন্দোলনের মুখে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পিছু হটতে বাধ্য হয়।

২০০৬ সালে ১/১১ এর পর দেশ যখন সেনাশাসিত অবৈধ সরকারের হাতে চলে যায়,তখন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর কন্যা আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তির জন্য আন্দোলনে অংশ নেই। তাছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবীতে এবং সেনাশাসিত সরকারের পরিবর্তে একটি নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য পিরোজপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আন্দোলন, সংগ্রামে অংশ নিয়েছি। ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অত্র নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনে নৌকার মনোনীত প্রার্থী এবং ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের মনোনীত প্রার্থীকে বিজয়ী করতে কাজ করেছি।

২০১৫ সালে বিএনপি-জামায়াতের আহুত ১৫৩ দিনের লাগাতার হরতাল-অবরোধের বিরুদ্ধে মহাসড়কে অবস্থান কর্মসূচিসহ পরিবহন সচল রাখতে ও যেকোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা যাতে না ঘটতে পারে সেজন্য আমার নেতৃত্বে শত শত নেতা-কর্মীদের নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় অবস্থান কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে মহাসড়ক পাহাড়া দিয়েছি। ২০০৯,২০১৪ এবং ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে সক্রিয়ভাবে নির্বাচনী মাঠে কাজ করেছি।
এছাড়াও তিনি আরও বলেন,২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীকে বিজয়ী করতে মাঠে কাজ করেছি। আমার পিতার নেতৃত্বে শত শত নেতা-কর্মীদের অংশগ্রহণে নৌকার পক্ষে উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ সম্পন্ন করে নৌকার মনোনীত প্রার্থীকে আমরা বিপুল ভোটে নির্বাচিত করতে সক্ষম হয়েছি। তাছাড়া বিএনপি-জামায়াত জোটের ডাকা হরতাল বিরোধী মিছিল-সমাবেশ ও দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছি।

সামাজিক কাজের সম্পৃক্ততা সম্পর্কে তিনি বলেন, ১৯৯৮ সালের ভয়াবহ বন্যার সময় সোনারগাঁ থানা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি আবুল হাসনাত সাহেবের দিক নির্দেশনা মোতাবেক পিরোজপুর ইউনিয়নের বন্যার্তদের মাঝে খাদ্য ও ঔষধ সামগ্রী বিতরণ করেছি। পবিত্র ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা এবং বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে গরীব,দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে ঈদ সামগ্রী এবং বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগে গরীব, দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে ব্যক্তিগত উদ্যোগে নগদ অর্থ সহায়তা ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ সহ শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র / কম্বল বিতরণ করে আসছি। তাছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় কাজে আর্তমানবতার সেবায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রেখেছি।

দেশে মহামারী করোনাকালীন সময়ে দলীয় নির্দেশনা পালনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদে গরীব দুঃস্থ অসহায়দের জন্য আসা খাদ্য সামগ্রী ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম চেয়ারম্যান এর পাশে থেকে গরীব দুঃস্থ ও অসহায়দের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছি।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত